নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এবার পথে নামলেন মহিলারা। রবিবার ওই অবরোধের ঘটনাটি ঘটে ফাঁসিদেওয়া থানার সাহানন্দজোত এলাকায় ফুলবাড়ি-ঘোষপুকুর বাইপাস সড়কে। ওই রাস্তা সংলগ্ন চারটি গ্রামের প্রায় শ’খানেক মহিলা ওই অবরোধ করেন। পুলিশ অবরোধস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিলে দু’ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। মাস খানেক আগেও একই দাবিতে ফাঁসিদেওয়ার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা ওই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ওই সময় এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হয়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। ফুলমতি রায়, গৌরী রায়, সিরাতি রায়েদের অভিযোগ, প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটি ভেঙেচুরে গিয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে। পিচের চিহ্ন বলে কিছুই নেই। রাস্তার পাথর পর্যন্ত উঠে গিয়ে মাটি বেরিয়ে গিয়েছে। গোটা রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাতদিন অসংখ্য মালবাহী গাড়ি ছাড়াও অন্যান্য বহু যানবানও চলাচল করে। গাড়ি চলাচলের সময় রাস্তার ধুলো-বালি বাড়িঘর সহ মাঠের শাক-সব্জি ছেয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্ণধর বাইন, নেতা শ্যামল মণ্ডল, সিপিএম নেতা স্বদেশ দেবনাথরা বলেন, “রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আন্দোলন হয়েছে। অথচ রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে কারও কোনও হেলদোল নেই। বাসিন্দাদের নিয়ে ফের বড় মাপের আন্দোলনে নামা হবে।” ফাঁসিদেওয়া থানার কয়েকজন পুলিশ অফিসারের কথায়, “রাস্তাটির বেহাল অবস্থার জন্য পুলিশেরও সমস্যা হচ্ছে। কোনও ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পৌঁছতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার জন্য যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মালবাহী ট্রাকগুলি থেকে দুষ্কৃতীরা দড়ি ও ত্রিপল কেটে মালপত্র চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে।” ফাঁসিদেওয়ার যুগ্ম বিডিও কিংশুক চন্দ বলেন, “ওই রাস্তাটি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে। মাস খানেক আগেও বাসিন্দারা রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে অবরোধ করেছিলেন। ওই সময় আমি নিজে অবরোধস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করি।” এসজেডিএয়ের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কিরণকুমার গোদালা বলেন, “ওই রাস্তার ধারে ক্যানেল থাকায় জল লিক করছে। ফলে মাটি বসে গিয়ে ওই সমস্যা হয়েছে। কী করে সেটা বন্ধের ব্যবস্থা করে রাস্তাটি সংস্কার করা যায়, সে ব্যাপারে আমরা জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ার কলেজে পরামর্শ চেয়েছি। তিস্তা প্রকল্পের সঙ্গেও কথা বলেছি। রিপোর্ট পেলে কাজ শুরু হবে।” |