একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তিন যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরার মুখে ওই তিন জন স্বীকার করে নিয়েছে যে আরও একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও তারা জড়িত। কিন্তু যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে ওই তিন জন দাবি করেছে। সেই সঙ্গে এর আগে তাদের ছিনতাই করা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধারও করতে পেরেছে পুলিশ। ডোমকল থানার আইসি কৌশিক ঘোষ বলেন, “গত ২৮ নভেম্বর সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের তিন অস্থায়ী কর্মী স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য ভগীরথপুর পঞ্চায়েত থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে ডোমকলে ফিরছিলেন। সেই সময়ে বাটিকামারি এলাকায় ওই কর্মীদের পথ আটকে টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার তিন যুবককে গ্রেফতার করার পরেই তাদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।” গত বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু-দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের নাম লালন মণ্ডল, মিঠুন ঘোষ ও আলমগির শেখ। তাদের বাড়ি ডোমকল থানার লস্করপুর, শ্রীরামপুর ও বাটিকামারি গ্রামে। পুলিশ হেফাজতে জেরা করার সময়ে ধৃতরা সাম্প্রতিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় নয়, মাস দেড়েক আগে ডোমকলের বাজারের রাস্তা থেকে এক মোটরবাইক আরোহীর কাছ থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে। সেই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধারও করেছে পুলিশ। এর পরেই আগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নতুন করে মামলা দায়ের করে রবিবার ধৃতদের হাজির করানো হলে বিচারক জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, আড়াই লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ে বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা মাসুদ আলম নামে এক জনকে গুলিও করে। পরে তাঁকে বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |