|
|
|
|
প্রতারণায় গ্রেফতার ‘সাধুবাবা’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগরদিঘি |
বেনারসের ঘাটে মছলি বাবার জারিজুরি ধরা পড়ে গিয়েছিল ফেলুদার হাতে। ইলাহাবাদের ভণ্ড সাধুবাবাকে ধরে ফেলেছিলেন ডক্টর হাজরা। ফেলুদার গল্পের সেই সব চরিত্রের সঙ্গে সাগরদিঘির মানুষ মিল পাচ্ছেন এক ব্যক্তির কাণ্ড-কারখানায়। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার বলেন, “সাধুবাবার বেশধারী এক ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে ‘শিষ্য’দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত।” তবে ধৃতের বক্তব্য, “আমি শিষ্য বাড়িতে এসেছিলাম। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ‘সাধু’র এক শাগরেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শাগরেদের বাড়ি নবগ্রাম থানার রাইন্ধ্যা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর খানেক ধরে ওই ‘সাধুবাবা’ নবগ্রাম ও সাগরদিঘি এলাকায় আনাগোনা করতেন। তাঁর অনেক শিষ্যও হয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় সাগরদিঘির হরহরি গ্রামে গিয়ে ফের চাকরির টোপ দিয়ে শিষ্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টা করলে ওই গ্রামেরই এক যুবক অসীম দাস সব কথা ফাঁস করে দেন। অসীমবাবু বলেন, “ওই ব্যক্তি সাধু সেজে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তির কথা বলে চাকরির টোপ দিতেন। তাঁর অনেক জানাশোনা রয়েছে ভেবে, বিশ্বাস করে তাঁকে টাকাও দিয়েছেন অনেকে। সাত মাস আগে আমাকেও তিনি স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।” কিন্তু অসীমবাবুর অভিযোগ, “তারপরে আমাকে চাকরিও দেয়নি। আজ পাবে, কাল পাবে বলে ঘোরাতেন। তারপরে দু’মাস হল বেপাত্তা হয়ে যান। ওই দিন রাতে আবার আমাদের গ্রামে এসে সেই একই কায়দায় কাজ করছেন শুনতে পেয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করি। তারপরে তাঁদের পুলিশ গ্রেফতার করে।”ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২০, ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|