|
|
|
|
রাস্তা দখলমুক্ত করতে পুর-উদ্যোগ নবদ্বীপে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে রাস্তা বাধামুক্ত করতে পথে নেমেছিলেন খোদ নবদ্বীপে পুরপ্রধানই। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কেবল পরিস্থিতি তদারক করেছেন তাই নয়, কখনও বুঝিয়ে কখনও ধমকে কখনও পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকের চাকার হাওয়া নিজের হাতে খুলে দিয়েছিলেন পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা। তারপর শহরের রাস্তা এখন অনেকটাই বাধামুক্ত। ফলে এ বার সপ্তাহান্তে নবদ্বীপের রাস্তাঘাটের চেহারা ছিল অনেকটাই অন্যরকম। রবিবার শহরে এসে পর্যটকেরাও অনেক স্বচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পেরেছেন। পোড়া মা তলা, বউবাজার, রাধাবাজার সহ শহরের ব্যস্ত পথে পরিস্থিতি অবশ্য পুরোপুরি বদলাতে সময় লাগবে। এই সব রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রিকশা, মোটরসাইকেল অবশ্য আগের মতো তেমন আর দেখা যাচ্ছে না। পুরপ্রধানের এই উদ্যোগে খুশি নবদ্বীপের সাধারণ মানুষ। বিমানকৃষ্ণবাবু বলেন, “৮০ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা গিয়েছে। দোকানগুলি তাদের বর্ধিত অংশ ঠিকঠাক করছেন। আমরা নজর রাখছি। নিয়মিত তদারকি হবে।”
রাস্তা বাধামুক্ত করতে ধাপে ধাপে এগিয়েছে নবদ্বীপ পুরসভা। প্রথমে নবদ্বীপের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর প্রধান রাস্তাটির দু’ধার থেকে জবরদখলকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করেছিলেন পুরপ্রধান। তাঁদের সময় দেওয়া হয়েছিল। তারপরে সরেজমিনে নিজেই পরিস্থিতি দেখতে চলে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সুপ্রাচীন এই শহরের অধিকাংশ রাস্তাই সরু। সেই পথের পরিসরটুকুও নানা কারণে ‘চুরি’ হয়ে গিয়েছে। রোজই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নানা ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে। যাতায়াত করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে কখনও সখনও। সেই কারণেই রাস্তাকে রাস্তার জায়গা ফেরত দিতে উঠে পড়ে লেগেছে পুরসভা। বিমানকৃষ্ণবাবু বলেন, “রাস্তার ধারে মোটরবাইক বা সাইকেল রেখে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা আর কাটানো যাবে না। কোনও দোকানে কেনাকেটা করতে কেউ বাইকে করে আসতেই পারেন। কিন্তু কাজ মিটলেই তাঁকে চলে যেতে হবে। কিন্তু ব্যস্ত রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা চলবে না।” একই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে রিকশাচালকদেরও। তিনি বলেন, “এমন ভাবে কাজ করুন, যাতে অন্যের অসুবিধা না হয়। পথচারীরা কিংবা বা অন্য যানবাহন কোনও সমস্যায় না পড়ে।” |
|
|
|
|
|