মাওবাদী বন্ধে সাড়া মিলল না ঝাড়গ্রামে
শীর্ষনেতা কিষেণজির মৃত্যুর প্রতিবাদে মাওবাদীদের ডাকা ভারত বন্ধের প্রথম দিনে জঙ্গলমহলের কেন্দ্রভূমিঝাড়গ্রাম শহর এ বার কার্যত সাড়া দিল না।
ইতিপূর্বে মাওবাদী-বন্ধে ‘সর্বাত্মক জনজীবন স্তব্ধ’ রাখার দৌড়ে বেলপাহাড়ি, লালগড়ের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম শহরও এগিয়ে থাকত। যদিও তথ্য বলছে, ২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত মাওবাদী বন্ধে সাড়া না পড়ার ব্যতিক্রমী তালিকাতেই থাকত ঝাড়গ্রাম শহর। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে শহরের উপকণ্ঠে মাওবাদী পোস্টার পড়ে। ছ’বছর আগের জানুয়ারি মাসে মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে সেই প্রথম বার সাড়া দেয় শহর-ঝাড়গ্রাম। তারপর থেকে মাওবাদী বন্ধের দিনে শহর অচল হওয়াটাই যেন প্রত্যাশিত ছিল। ২০০৮ সাল থেকে জনগণের কমিটির বন্ধ-অবরোধের জেরে গোটা জঙ্গলমহলের সঙ্গে অচল থেকেছে ঝাড়গ্রাম শহর।
বন্ধেও স্বাভাবিক ঝাড়গ্রামের জনজীবন। ছবি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ।
কিষেণজির মৃত্যুর প্রতিবাদে গত সপ্তাহেই দু’দিন (২৬ ও ২৭ নভেম্বর) জঙ্গলমহলে বন্ধ ডেকেছিল মাওবাদীরা। সেই বন্ধে ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের একাংশে কিছুটা প্রভাবও পড়েছিল। ফের ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ভারত-বন্ধের ডাক দেয় মাওবাদীরা। তবে এ বার বন্ধের প্রথম দিনে রবিবার জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। বিশেষত ঝাড়গ্রাম শহরে ছুটির দিনে বাজার-হাটেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শহরের রেশন দোকান খোলা ছিল। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও অন্য দিনের মতো এ দিন পণ্যবাহী লরি চলাচল করেছে। শহরের কিছু ব্যবসায়ী অবশ্য ‘ঝুঁকি এড়াতে’ দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে কেনাবেচা করেছেন। বেশ কয়েকটি বড় দোকান আবার বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও বন্ধ উপেক্ষা করার এই প্রবণতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। তবে, অন্য বারের মতো এ দিনও জঙ্গলমহলের কোথাও বাস-ট্রেকার চলেনি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল অবশ্য।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.