কাছাকাছি গেলেও ভাল করে বোঝা যাবে না বাইশ গজ কোনটা, আর আউটফিল্ড কোনটা। ভিনরাজ্যে যে ধরনের পিচে ফেলা হয় বাংলাকে, এ বার ঘরের মাঠেও সে পিচের ব্যবস্থা থাকছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে রঞ্জি ট্রফির বাংলা বনাম তামিলনাড়ু ম্যাচ। যা হবে ইডেনের সবুজ পিচে। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে, ‘গ্রিন টপ’!
চলতি রঞ্জি মরসুমে পিচ নিয়ে কম অভিযোগ ওঠেনি। বলা হয়েছে, ঘরের মাঠ থেকে পাঁচ পয়েন্ট তোলার কোনও সুযোগই থাকছে না। এতটাই মন্থর হচ্ছে পিচ। ঘরের মাঠে দুটো ম্যাচ থেকে পাওয়া গিয়েছে মাত্র চার পয়েন্ট। সে কারণেই কি এই বোধোদয়? ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক প্রবীর মুখোপাধ্যায় মানছেন না। বরং বলছিলেন, “জানি না, এই পিচও বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের পছন্দ হবে কি না। কারও নির্দেশ মেনে পিচ বানাইনি।” পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন, অল্পস্বল্প ঘাস ছাঁটা যেমন সাধারণত হয়ে থাকে, তেমনই হবে। “পিচ আদতে গ্রিন টপই হচ্ছে,” সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন প্রবীর। |
ইডেনে খোশমেজাজে অশোক দিন্দা। সঙ্গী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। রবিবার। -নিজস্ব চিত্র |
প্রবীর যা-ই বলুন, শেষ পর্যন্ত পিচে কতটা ঘাস থাকবে এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ, এ দিনের প্র্যাক্টিসে না থাকায় পিচ এখনও দেখা হয়নি বাংলা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সিএবি কর্তারা জানাচ্ছেন, পিচে আপাতত ঘাস ছাড়া আছে ঠিকই, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সৌরভ। তবে অনেকের আবার ধারণা ঘাস ছেঁটে তো লাভ নেই। তিন পয়েন্ট দিয়ে তো আর কাজ হবে না, চাই পাঁচ। তাতে হয় এস্পার, নয় ওস্পার। মোদ্দা কথায়, বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় এখন আগে অবনমন বাঁচানো।
শনিবার সন্ধেয় ফিরে এ দিন সকাল-সকালই ক্রিকেটারদের নিয়ে কোচ ডব্লিউ ভি রামন প্র্যাক্টিসে নেমে পড়লে কী হবে, পেসারদের কাউকেই দেখা যায়নি। একে তো অবনমনের গভীর আশঙ্কার মধ্যে এমন ঢিলেঢালা প্র্যাক্টিস-পর্ব, তার উপর বাংলা কোচ ডব্লিউ ভি রামন প্র্যাক্টিসের অধিকাংশ সময়টাই কাটালেন নিজের পুরোনো টিম, অর্থাৎ তামিলনাড়ু ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপচারিতায়। যাদের প্র্যাক্টিসও ছিল এ দিন বাংলার গায়ে-গায়ে।
এ দিনই আবার তামিলনাড়ুর শক্তি বাড়িয়ে শিবিরে ঢুকে পড়লেন বদ্রিনাথ। এবং এসেই হুমকি দিয়ে রাখলেন বাংলাকে। বলে রাখলেন, “ঘরের মাঠে খেলার সুবিধাটা ওরা পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা বলে আমাদের হেলাফেলা করলে ভুগতে হবে।” পাশাপাশি তিনি যোগ করেছেন, “বাংলার হয়ে সৌরভ খেলবে, এটা একটা ফ্যাক্টর। ও কিংবদন্তি। তবে আমরা প্রথম দু’টো ম্যাচে ভাল না খেলতে পারলেও টিম ভাল।” জানা গেল, ঘাসের পিচ দেখে বাংলার মতো তামিলনাড়ুও তিন পেসারের ব্যবস্থা রাখছে। লক্ষ্মীপতি বালাজি, ইয়ো মহেশের সঙ্গে জগন্নাথন কৌশিক। আর বাংলার অ্যাডভান্টেজ বলতে জাতীয় দলের হয়ে ডিউটিতে ব্যস্ত রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলতেই হচ্ছে না। |