রাজ্যের অনেক দফতরেই বাড়তি কর্মী আছেন। কাজে লাগানোর জন্য তাঁদের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নয়া জমানায় এ ব্যাপারে প্রথমেই বেছে নেওয়া হয়েছে দিল্লির বঙ্গভবনকে। সেখানকার ‘উদ্বৃত্ত’ সরকারি কর্মীদের বদলি শুরু হয়েছে পূর্ত দফতরের বিভিন্ন বিভাগে। পুজোর সময় থেকেই দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাবেক অতিথিশালা বঙ্গভবনের ক্যান্টিনের দায়িত্ব পুরোপুরি তুলে দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি কেটারিং সংস্থার হাতে। তার আগে বঙ্গভবনের অতিথিদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন সেখানকার সরকারি কর্মীরাই। রান্না থেকে শুরু করে ক্যান্টিনে খাবার দেওয়ার কাজ সামলাতে চতুর্থ শ্রেণির ৫২ জন কর্মী ছিলেন বঙ্গভবনে।
পূর্তসচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন সম্প্রতি মহাকরণে জানান, বেসরকারি কেটারিং সংস্থাকে বঙ্গভবনের অতিথিদের জন্য সকালের চা থেকে শুরু করে দুপুর ও রাতের খাবার এবং স্ন্যাক্স সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়ার পরে ওই চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মীদের অনেকেরই কাজ নেই। তাই তাঁদের মধ্যে কারা কলকাতায় এসে পূর্ত দফতরের অন্যান্য শাখায় কাজ করতে আগ্রহী, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৫২ জনের মধ্যে ১৮ জন কর্মী ইতিমধ্যে কলকাতায় ফিরে আসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আট জনকে কলকাতায় পূর্ত দফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ে বদলির নির্দেশও জারি করা হয়েছে।
পূর্তসচিব জানান, দিল্লিতে অন্ধ্র ভবনের ক্যাফেটারিয়া বাইরের ভোজনরসিকদের কাছেও বিভিন্ন দক্ষিণী খানার জন্য জনপ্রিয়। অন্ধ্র ভবনে যাঁরা থাকেন না, তাঁরাও সেখানে খেতে যেতে পারেন। একই ভাবে বঙ্গভবনেও বাইরের লোকেদের জন্য বাঙালি খানা চালু করা হবে। দিল্লির যে-সব বাসিন্দা বাঙালি খাবার পছন্দ করেন, তাঁরাও যাতে বঙ্গভবনে গিয়ে খেতে পারেন, সেই জন্য বঙ্গভবনে আলাদা ক্যাফেটারিয়া খোলা হচ্ছে। ওই ক্যাফেটারিয়ার জন্য একটি জায়গা বাছাই করে সেটিকে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। |