দোলযাত্রায় কল্যাণীর সতী মার মেলা দেখতে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। সমাগম হয় দেশ বিদেশের দর্শনার্থীদেরও। তবে যাত্রীনিবাসের অভাবে প্রতিবছরই সমস্যায় পড়তে হয় দর্শনার্থীদের। স্থানীয় বাসিন্দারাও দীর্ঘ দিন ধরে একটি যাত্রীনিবাস তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন।
দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে কল্যাণী পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই সতীমার মেলা প্রাঙ্গণে যাত্রীনিবাস তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, একই সঙ্গে তৈরি করা হবে একটি কমিউনিটি হলও। শনিবার এই যাত্রীনিবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পুরপিতা তৃণমূলের প্রদীপকুমার সুর। উপস্থিত ছিলেন উপপুরপ্রধান সুশীল তালুকদার, স্থানীয় কাউন্সিলর মনোজ বিশ্বাস-সহ বিশিষ্টেরা।
প্রদীপবাবু বলেন, “২ হাজার দু’শো বর্গফুট এলাকার উপরে এই যাত্রীনিবাস তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা খরচ হবে। দোলযাত্রার আগেই এই যাত্রীনিবাসটি উদ্বোধন করা হবে। কৃষ্ণনগরের শিল্পী মৃগাঙ্ক পালের তৈরি সতী মার ব্রোঞ্জের মূর্তিও সেখানে স্থাপন করা হবে। তা তৈরি করতে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে।”
মনোজবাবু বলেন, “দোলের আগের দিন থেকেই এখানে ভিড় বাড়তে শুরু করে। দিন সাতেকের এই মেলায় প্রচুর মানুষ আসেন। এত দিন তাঁদের জন্য অস্থায়ী নিবাস তৈরি করা হতো। স্থানীয় মানুষ এখানে স্থায়ী যাত্রীনিবাস তৈরি করার জন্য আবেদন করেছিলেন।”
স্থানীয় বাসিন্দা দীনদয়াল বাউল বলেন, “বাউল সমাবেশ এই মেলার বিশেষ আকর্ষন। দেশ বিদেশের বাউলেরা এখানে আসেন। যাত্রীনিবাসের সমস্যা থাকায় এখানে এসে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের অনেককেই।” স্থানীয় বাসিন্দা রেনুকা পাল বলেন, “মেলায় এসে সমস্যায় পড়েন মহিলারা। অনেক সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের বাড়িতেই চলে আসেন তাঁরা।” তবে পুরসভার উদ্যোগে এই যাত্রীনিবাস তৈরিতে স্বাভাবিক ভাবেই খুশী সাধারণ মানুষ। তাঁদের কথায়, আপাতত একটি যাত্রীনিবাসই তৈরি করছে পুরসভা। পরে দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে পুরসভা আরও যাত্রীনিবাস তৈরি করবে বলে আশা তাঁদের। |