দিঘাকে আদর্শ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরতে আগামী জানুয়ারিতে সৈকত উৎসবের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার।
নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, ১৩-১৬ জানুয়ারি, চার দিন ব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার সমুদ্র সৈকত সাজানোর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সে দিকে লক্ষ্য রেখে এই সৈকত উৎসবের আয়োজন। দেবাশিসবাবু বলেন, “সৈকত উৎসব উপলক্ষে দিঘাকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিউ দিঘায় উৎসব হলেও মন্দারমনিতে পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় স্থানীয় পঞ্চায়েত ও হোটেল কর্তৃপক্ষ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নগরোন্নয়ন, পযর্টন ও মৎস্য দফতর আয়োজিত এই উৎসবে সৈকত জলক্রীড়া, সি-কার রাইডিং, বিচ ভলিবল, সি-ফুড প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া প্রতিদিন থাকছে খ্যাতনামা শিল্পী সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মন্দারমনিতে সি-বিচে গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই নতুন একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। তাতে পিচ ফেলার জন্য নগরোন্নয়ন দফতর থেকে কালিন্দী পঞ্চায়েতকে ১৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দেবদুলাল দাস মহাপাত্র জানান, উৎসবের উদ্বোধনের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যাতে মন্দারমনিতে আসেন সে জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানানো হবে। পযর্টনের পাশাপাশি সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে মন্দারমনি-সহ ৬টি মৌজা যুক্ত হচ্ছে বলে পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “মন্দারমনি, দাদন পাত্রবাড়, রাণিয়া, সিলামপুর, সোনামুই ও দক্ষিণ পুরুষোত্তমকে পর্ষদের এলাকাভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র নোটিফিকেশনের অপেক্ষা।” এ জন্য দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নামও বদলে দিঘা-মন্দারমনি উন্নয়ন পর্ষদ বা সংক্ষেপে ডিএমএসডিএ হতে চলেছে। সৌমেনবাবু জানান, অধিগৃহীত ৬টি মৌজার মোট জমির পরিমান ৬৮২৬৭৭ একর। সব ক’টি মৌজাই রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির কালিন্দী পঞ্চায়েতের। |