তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে মেমারির বাগিলা শশীনাড়া হাইস্কুলের সব ক’টি আসনেই জয়ী হলেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবার ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। তাতে ৬টি আসনেই জেতে কংগ্রেস। ২০১০ সালে বামফ্রন্টকে হারিয়ে মেমারি পুরসভায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়লেও পরে তাদের ছাড়াই পুরবোর্ড গড়ে তৃণমূল। গত বিধানসভা ভোটেও মেমারি আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। তবে এ দিন শশীনাড়া হাইস্কুলে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এআইসিসি সদস্য সেলিম মোল্লা বলেন, “এই স্কুলে গত বার ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তৃণমূল এবং সিপিএমের প্রার্থীদের হারিয়ে সে বারও ৬টা আসনে আমরা জিতেছিলাম। বাগিলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রাম সংসদ আসনটিও আমাদের দখলে।” এ বার সিপিএমের তরফে কেউ এই স্কুলে মনোনয়ন জমা দেননি। তাই এ বার কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যেই সরাসরি লড়াই হয়। ৩১২ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৯ জন ভোট দেন। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই পিছিয়ে পড়তে থাকেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। শেষ পর্যন্ত সব আসনেই হারেন তাঁরা। যদিও মেমারির তৃণমূল বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডলের দাবি, চতুর্থ রাউন্ডের শেষে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, “তৃণমূলকে হারাতে কংগ্রেস ও সিপিএম আঁতাত হয়েছে। সে কারণেই এমন ফল হয়েছে।”
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মন্তেশ্বরের পাকুড়মুড়ি এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম তাহের আলি সিকদার, সাহিবুল শেখ, বাবুলাল মুর্মু। ধৃত তাহের আলি ও সাহিবুলের বাড়ি যথাক্রমে স্থানীয় আজাহার নগর ও মোজাহার নগরে। বাবুলালের বাড়ি মেমারি থানার মহিষপুরে। তাদের কাছে থেকে একটি দেশি রিভলভার, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ভোজালি উদ্ধার হয়েছে। মন্তেশ্বর থানার পুলিশের দাবি, এ দিন রাতে ওই তিন জন স্থানীয় পাকুড়মুড়ি সেতুর কাছে ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল। গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। |