|
|
|
|
দু’টি কলেজে জৈবপ্রযুক্তি পরীক্ষায় বিশেষ নজর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পরীক্ষায় নজরদারি থাকেই। জৈবপ্রযুক্তির এম টেক পরীক্ষায় এ বার সেই স্বাভাবিক নজরদারির উপরেও বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সর্বত্র তা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি কলেজে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত এমনিতেই আছে। কিন্তু ওই দু’টি কলেজে জৈবপ্রযুক্তিতে প্রচলিত নিয়মের বাইরে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে।
বাড়তি নজরদারি কেন? ওই দু’টি কলেজের কিছু পড়ুয়া মৌখিক পরীক্ষায় বারবার অকৃতকার্য হয়েছেন। কিন্তু তাঁরাই কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেয়েছেন। তাই ওই দু’টি ক্ষেত্রে এ বারের পরীক্ষায় বিশেষ নজরদারির বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেক পঠনপাঠন এবং পরীক্ষার ব্যাপারে কলেজগুলির স্বশাসন রয়েছে। কলেজই পরীক্ষা নেয় এবং মূল্যায়ন করে। এই পদ্ধতিতে অনেক কলেজেই ঠিকঠাক মূল্যায়ন হয় না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। তাই এ বছর থেকে একটি মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। এবং সেই মৌখিক পরীক্ষায় বহিরাগত পরীক্ষক থাকা আবশ্যিক। মৌখিকে দু’বার ফেল করলে সামগ্রিক পরীক্ষায় পাশ করা যায় না।
এ বছর কলকাতা ও দুর্গাপুরের দু’টি কলেজের কিছু পড়ুয়া মৌখিকে বারবার অকৃতকার্য হলেও লিখিত পরীক্ষায় ৯০%-এর বেশি পেয়েছেন। তাই কলেজের মূল্যায়ন নিয়ে সংশয় বেড়েছে। তাই ওই দু’টি কলেজে জৈবপ্রযুক্তির এম টেক পরীক্ষায় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উপাচার্য সব্যসাচী সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “পরীক্ষায় কোনও রকম অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা দেখতেই বিশেষ নজরদারির বন্দোবস্ত করা হয়েছে।” কিন্তু এর পরেও যদি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় নম্বরের প্রচুর ফারাক হয়, তা হলে নজরদারির ধরন বদলানো হতে পারে বলেও এ দিন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন উপাচার্য। |
|
|
|
|
|