|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
আপনি তিনি দূরেই রইলেন
বইপোকা |
|
|
ধূম্রপান করিতেছেন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিপুত্র, বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তথাকথিত আশ্রমিক সাত্ত্বিকতাকে চূর্ণ করিয়া দিবার মতো এই চিত্রটি গত সপ্তাহে শহরের এক অভিজাত পুস্তক বিপণি আলো করিয়া থাকিল। উপলক্ষ রথীন্দ্রনাথ-বিষয়ক আপনি তুমি রইলে দূরে: সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রথীন্দ্রনাথ (দে’জ) গ্রন্থটির প্রকাশ। ইহার প্রচ্ছদকার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিশ্বভারতীর কর্মী, তাঁহার শিক্ষাও ওই আশ্রমেই। তথাপি মননের আশ্রমিক পাঁচিলগুলি ভাঙিয়া রথী ঠাকুরের জীবন-বিলাসী এই চিত্রটিকে বাছিবার এই সাহসকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু গ্রন্থটির ‘অথর’ কে? প্রচ্ছদ এবং আখ্যাপত্র অনুসারে, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট ৩৪২ পৃষ্ঠার গ্রন্থের ২১২ পৃষ্ঠা রথীন্দ্রনাথের এবং রথীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠিপত্র। ৭ পৃষ্ঠা জয়ব্রত চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রথী-স্মৃতি। ৫১ পৃষ্ঠা আলোকচিত্র। ৬৪ পৃষ্ঠা নীলাঞ্জন-লিখিত প্রবন্ধ। এই ৬৪-রও অধিকাংশ চিঠিপত্র হইতে দীর্ঘ উদ্ধৃতি। অর্থাৎ গ্রন্থের এক পঞ্চমাংশেরও কম ঘোষিত ‘অথর’-এর। চিঠিপত্র সংগ্রহের এক বিবরণমূলক সম্পাদকীয়ের জোরে ‘অথরশিপ’ লইয়া, গ্রন্থের মূল ভিত্তিকে পরিশিষ্টে ঠেলিয়া দেওয়া গ্রন্থনির্মাণের শিষ্টাচার বিরোধী। বিরোধী বিশ্বভারতীর প্রকাশনা সংস্কৃতিরও, যাহা আজও সম্পাদনার ক্ষেত্রে আদর্শ হইয়া আছে। এই ‘বিপণন’ সমর্থনযোগ্য নহে। |
|
|
|
|
|