|
|
|
|
|
|
অর্থাভাব |
দুর্ভোগের রাস্তা |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
জল প্রকল্পের কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। তার পরে ঝামা ইট ফেলে গর্ত বুজিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া পুরসভার সংযোজিত এলাকার ৪৫ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি এখনও সেই অবস্থায়ই পড়ে রয়েছে। ফলে পথচারী ও নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুরসভা জানিয়েছে, অর্থের অভাবে সংস্কার আটকে আছে। যদিও পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরসভাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।
জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশনের (জেএনএনইউআরএম) অন্তর্গত এই জল প্রকল্পের কাজ ২০০৮-এ শুরু হয়। কাজের দায়িত্বে ছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি-র (কেএমডব্লিউএসএ)। প্রকল্পে খরচ বরাদ্দ হয়েছিল ৯০ কোটি টাকা। |
 |
২০১১-এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কেএমডব্লিউএসএ-র অভিযোগ, পাইপ বসানো হয়ে গেলেও পুরসভা টাকা না দেওয়ায় রাস্তাগুলি মেরামত করা যাচ্ছে না। বাকসাড়া, ধাড়সা, জগাছা, মাতাশি, মৌখালি, বালিটিকুরি প্রভৃতি এলাকার অধিকাংশ রাস্তায়ই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে বেহাল। রাস্তাগুলি এমনিতেই সঙ্কীর্ণ। পাইপ বসানোর পরে রাস্তাগুলি ঝামা ইট ও বালি ফেলে অস্থায়ী ভাবে সারানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই ইট উঠে এবড়ো-খেবড়ো হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ফলে হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাকসাড়ার বাসিন্দা চিন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাকসাড়া রোডের অবস্থা খুবই খারাপ। খানাখন্দে ভরা। ইট বেরিয়ে আছে। মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হয়।” অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে নর্দমার সঙ্গে মিশে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় গাড়ির ভারে রাস্তা বসে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গাদাস ঘোষ বলেন, “পাইপ বসানোর পরে এক বছর কেটে গিয়েছে। রাস্তা জুড়ে ইট, পাথর পড়ে আছে।
অন্ধকারে কিছুই বোঝা যায়নি। সারানোর ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহিয়াড়ি রোড গাড়ি চলার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই হাঁটু-সমান জল জমে যায়। |
 |
কেএমডব্লিউএসএ, কেএমডিএ-র অধীনস্থ সংস্থা। কেএমডিএ-র ডিজি রজত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেএমডব্লিউএসএ কাজ করছে। জেএনএনইউআরএম-এর এই প্রকল্পে পুরসভার অংশের টাকা পাওয়া যায়নি বলে কাজ আটকে ছিল। অতি সম্প্রতি পুরসভা তিন কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।”
হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের ৯ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ইতিমধ্যেই ৬ কোটি টাকা দিয়েছি। ঝামা ইট ফেলে রাস্তাগুলির প্রাথমিক প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছে। বাকি অর্থের জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। অর্থ এলে কাজ হবে।” যদিও পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন “রাস্তা সারানোর জন্য হাওড়া পুরসভাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে।”
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
 |
|
|