খেলা
টেবলে তারুণ্য
নেক দিন ধরে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে। টেবলের সামনে এলে তা ভুলে যান রমাপ্রসাদ চৌধুরী। সাফল্যও আসে। এ বার প্রবীণদের টেবল টেনিসে সত্তরোর্ধ্ব বিভাগে সেরার শিরোপা তুলে নিলেন তিনি। সম্প্রতি এ রকম এক ঝাঁক প্রবীণদের লড়াইয়ে জমে উঠেছিল দ্বাদশ নন্দলাল সিংহ মেমোরিয়াল ভেটারেন্স টেবল টেনিস টুর্নামেন্ট। আয়োজন করেছিল হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাব। প্রতিযোগী ছিলেন ৫১ জন।
৪০, ৫০, ৬০ ও ৭০ ঊর্ধ্ব পুরুষদের এই পাঁচটি বিভাগে লড়াই হয়। মহিলাদের শুধু ৪০ ঊর্ধ্ব বিভাগে লড়াই হয়। এই বিভাগে করবী মাইতি, মান্তু মুর্মু, মন্দিরা শূর ও গোপা বালার লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মান্তু। খেলা ছাড়ার ১৮ বছর পরে আবার ফিরলেন করবী। করবী বললেন, “বেশ ভাল লাগছে। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
নূপুর সাঁতরা টেবল টেনিসে চেনা মুখ। এখন কোচ। ৪০ ঊর্ধ্ব বিভাগের ফাইনালে সুদীপ মৈত্রকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। গত বছর জাতীয় ভেটারেন্স টেবল টেনিসে ওই বিভাগে দলগত ও ডাবলসে বাংলার হয়ে সোনা জিতেছিলেন। জয়ের পরে নূপুর বললেন, “খেলোয়াড় জীবনে হাওড়ায় অনেক টুর্নামেন্ট খেলে গিয়েছি। পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।” ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন তপন দাসচৌধুরী। ৬০ ঊর্ধ্ব বিভাগের ফাইনালে তপন চট্টরাজ এবং সাধন দত্তের খেলা জমে উঠেছিল। এই বিভাগে সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন হাওড়ার সুবিমল সরকার। তিনি বললেন, “সুস্থ থাকার জন্যই খেলতে আসি।” প্রবীণ খেলোয়াড় সাধন দত্ত বললেন, “রাজ্যের প্রাক্তন টেবল টেনিস খেলোয়াড়দের এক ছাতার তলায় আনার লক্ষ্য নিয়েই আমরা কয়েক জন মিলে ২০০০-এ ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেটারেন্স টেবল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দেখেছি শরীর সুস্থ রাখার জন্য নব্বই বছরের প্রবীণ খেলোয়াড়ও খেলতে আসছেন।”
রাজ্য ভেটারেন্স টেবল টেনিস সংস্থার সচিব সুব্রত বক্সী বললেন, “অনেক দিনের দাবি মেনে ৭০ ঊর্ধ্ব বিভাগে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। আগামী বছরের জুন মাসে স্টকহোমে বিশ্ব ভেটারেন্স টেবল টেনিসের আসর বসবে। বাংলা থেকে যাবে ১৪ জনের দল।” প্রতিযোগিতার শেষে আয়োজক ক্লাবের সচিব নিমাই দত্ত, কোষাধ্যক্ষ বিপ্লব তালুকদার প্রমুখ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.