ভবিষ্যতে কখনও আক্রান্ত হলে সেনাবাহিনীকে কোনও ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা না করে সর্বশক্তি দিয়ে প্রত্যাঘাত করতে বললেন পাক সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কিয়ানি। গত শুক্রবার রাতে পাক-আফগান সীমান্তে ন্যাটোর হেলিকপ্টার হানায় ২৪ জন পাক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিয়ানির এই নির্দেশ। আবার ওবামা প্রশাসনের কয়েক জন কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি মার্কিন সংবাদপত্র দাবি করেছে, ওই এলাকায় কোনও পাক বাহিনী নেই বলে পাক কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চয়তা পেয়েই ন্যাটো বিমান হানা চালিয়েছিল। পাক সীমান্তের দিক থেকে সে দিন পাল্টা গুলি চলেছিল কি না, তা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই উঠে এসেছে এক নয়া বিবৃতি। তবে ওই বিবৃতি কিয়ানির না পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগের, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, ‘আক্রান্ত হওয়ার সময়ে পাক বিমানবাহিনীকে পাওয়া গেলে আরও কার্যকর ভাবে প্রত্যুত্তর দেওয়া যেত। যোগাযোগ ব্যবস্থায় গণ্ডগোল আর স্বচ্ছতার অভাবেই বিমানবাহিনীকে একত্রিত করা যায়নি।’ এমনিতেই ন্যাটোর হামলার পর থেকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছে পাকিস্তান। ন্যাটোর রসদবাহী ট্রাক চলাচলের পথ বন্ধ করে, আমেরিকাকে শামসি বিমানঘাঁটি খালি করে দিতে বলে চাপ বাড়াচ্ছেন পাক কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে আজ যোগ হল কিয়ানির নির্দেশ। পাক সরকারের সূত্রের খবর, ন্যাটোর আক্রমণকে ‘অনুপ্রবেশ’ আখ্যা দিয়ে কিয়ানি বলেছেন, ‘‘হানাদার যেন রেহাই না পায়। যুদ্ধের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের (সেনাবহিনী) মনে কোনও সন্দেহ থাকুক আমি চাই না। কোনও হামলা হলে সম্ভাব্য সব রকম ভাবে তা প্রতিরোধ করবেন। কোনও অনুমতি নিতে হবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২৪ জন পাক সেনার মৃত্যুর জেরে সেনাবাহিনীর নিচু স্তরের ক্ষোভ প্রশমনও কিয়ানির এই ‘কড়া’ বিবৃতির উদ্দেশ্য। বন-এ আফগানিস্তান সংক্রান্ত সম্মেলন বয়কট করার সিদ্ধান্ত পাক সরকারের সেই চাপ বাড়ানোরই কৌশল।
|
সোনায় মোড়া লাল পাথরের মাঝখানে ছোট্ট একটা ‘হৃদয়’। আর তাতে হিরের ঝলকানি। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়া বর্ণময় ইতিহাসকে পুঁজি করে নিলামে উঠতে চলেছে ‘তাজমহল ডায়মন্ড’। লিজ টেলরের পছন্দের গয়না। ১৯৭২ সালে ৪০তম জন্মদিনে স্বামী রিচার্ড বার্টনের কাছ থেকে লিজ উপহার পেয়েছিলেন হিরেটি। রেশমী সুতোর হারে হিরের লকেট। পরে রেশমের সুতো খুলে চুনির হার গলায় জড়ালেন লিজ। মুমতাজের স্মৃতিতে মিশে যায় লিজ টেলর ও বার্টনের প্রেমের স্মৃতি। বেশ নজরকাড়া ইতিহাস তাজমহলের হিরের। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির তাঁর প্রিয় ছেলে শাহজাহানকে উপহার দিয়েছিলেন হিরেটি। |