|
|
|
|
কয়লা পাচার সন্দেহে ১১টি ট্রাক আটক পানাগড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছে সন্দেহে পানাগড় থেকে ১১টি ট্রাক আটক করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে কাঁকসা থানার পুলিশ ট্রাকগুলিকে আটক করে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ২২০ টন কয়লা। ১১ জন ট্রাকচালককেও আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের আশপাশে ইসিএলের বিভিন্ন পরিত্যক্ত ও চালু খনি থেকে ওই কয়লা পাচার করা হচ্ছিল।
সম্প্রতি কয়লা মাফিয়া কালে সিংহ, রাজু ঝাঁ, জয়দেব মণ্ডল এবং তাঁদের দলের বেশ কিছু লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও বিভিন্ন এলাকায় চোরাগোপ্তা পাচার চলছেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঁকসা থানায় বসে বর্ধমানের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে একটি বুথ থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পাচারের খবর দেয়। এর পরেই তিনি কাঁকসা থানার ওসি পার্থ ঘোষকে সতর্ক করেন। কয়লা বোঝাই ট্রাকের সন্ধানে পুলিশ জি টি রোডে টহল দিতে শুরু করে। শেষে পানাগড়ের কাছে দার্জিলিং মোড়ে পরপর ১১টি ট্রাক আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, “সম্ভবত এই পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকেরাই খবর দিয়েছিল। ধানবাদ, আসানসোল ইত্যাদি এলাকা থেকে ওই ট্রাকগুলিতে কয়লা বোঝাই করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ট্রাকের চালকেরা কিছু নথিপত্র দেখিয়ে দাবি করছে, এগুলি ইসিএল বা বিসিসিএলের বৈধ কয়লার চালান। আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখছি। সেগুলি আসল বলে প্রমাণিত না হলে ট্রাকগুলিকে ছাড়া হবে না।” রাত পর্যন্ত অবশ্য ধোঁয়াশা কাটেনি। ম্যানেজার ঘেরাও। ভূগর্ভে কয়লা কাটার জন্য ঘটানো বিস্ফোরণে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিকারের দাবিতে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত জামুড়িয়ার পরাশিয়ার গ্রুপ অফ মাইনস-র এজেন্ট ও ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন পরাশিয়ার ফুলডাঙা গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা। এজেন্ট দেবেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|