|
কমনরুম, সাইকেল রাখার
ছাউনি তৈরি করা দরকার
মলয়কুমার মান্না
(প্রধান শিক্ষক)
|
|
জঙ্গলপাড়া গ্রামটি হুগলির পুড়শুড়া ব্লকের দামোদর নদীর কোলে অবস্থিত। কৃষিপ্রধান এলাকার এই গণ্ডগ্রামের স্কুলটি তৈরি হয়েছিল স্থানীয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পৃষ্ঠপোষকতায়। বিএল মুখার্জি ট্রাস্ট এস্টেটের অর্থানুকূল্যে ও বহু মানুষের দানে স্কুলের পথচলা শুরু ১৯৩৬ সালে। তখন পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল মাত্র ২১০ জন। এখন এই স্কুল পরীক্ষার ফলাফল, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরামবাগ মহকুমার গৌরব। ২০০৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় স্থানাধিকারী হয় এই স্কুলের পড়ুয়া। এই স্কুলের প্রাক্তন বহু ছাত্রছাত্রী পরবর্তী জীবনে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, চিকিৎসক, স্থপতি, শিক্ষক, সর্বোপরি সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস আছে। |
গ্রন্থাগারে পাঁচ হাজারেরও বেশি বই। কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থাও হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদিও স্কুলে উপযুক্ত খেলার মাঠের অভাব আছে। সমস্যা আছে আরও। ছাত্রছাত্রীদের কমনরুম, সভাকক্ষ, সাইকেল রাখার ছাউনি দরকার। ক্লাসরুম ও বেঞ্চেরও ঘাটতি আছে। দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে পরিচালন সমিতি নেই। সমস্ত সমস্যার কথা শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। |
আমার চোখে |
সুমন কুঁথি
(দশম শ্রেণির ফার্স্ট বয়) |
|
পড়াশোনার জন্য আমাদের স্কুলের খ্যাতি বরাবরের। সমস্যা কিছু আছে বটে, কিন্তু পড়ার মানের জন্যই সে সব পুষিয়ে যায়। আমার কাছে স্কুলের বিশেষত্ব হল, শিক্ষকেরা সমস্ত পড়ুয়ার প্রতি সমান ভাবে নজর দেন। প্রত্যেককে উৎসাহিত করেন। বাড়িতে কী পড়ছি, কত ক্ষণ পড়ছি, সে সবেরও খোঁজ নেন। এমনকী, স্কুলের বাইরেও আপত্তিকর কিছু করলে তা শিক্ষকদের কানে ঠিক পৌঁছে যায়। এ ছাড়াও, স্কুলের সমস্ত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উৎসাহ দেন তাঁরা। তবে, কমনরুম, সাইকেল রাখার ছাউনি না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়। শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটা কথা বলতেই হয়, শৃঙ্খলাপরায়ণতা বা শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের শ্রদ্ধাশীলতার যে বাতাবরণ ছিল, তা ইদানীং যেন কিছুটা আলগা হয়ে যাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে হট্টগোলে অনেক সময় মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। |