চিকুনগুনিয়া বিহারে, সচেতনতা বাড়াতে লাগাতার প্রচার
লকাতার মতো বিহারও এবার চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। এনসেফেলাইটিসের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সামনে মশাবাহিত এই রোগের আক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। এমনকী এই রোগ নির্ণয়ের জন্য পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই এনসেফেলাইটিসের আক্রমণে এই বছরে ৮৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রাজের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ৩৭ জনকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে। রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি রোগ ধরা পড়েছে পটনা, নালন্দা এবং ছাপড়া জেলায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বিহারে এই প্রথম চিকুনগুনিয়ায় এত জন আক্রান্ত হল। চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে। পটনার চিকিৎসক অজয় কুমার এই রোগের লক্ষণগুলি বলতে গিয়ে জানান, দুই থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত জ্বর থাকবে, সঙ্গে দুর্বলতা। ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠতে পারে। এর সঙ্গে থাকবে গাঁটে গাঁটে ব্যাথা। মাথা ব্যাথাও এই রোগের লক্ষণ। এই ব্যাথা এক সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।” কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই রোগ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে বলেন, “জানলা দরজা বন্ধ রাখতে হবে। মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে। প্রয়োজনে জানলায় মশা প্রতিরোধ জাল লাগাতে হবে। সারা শরীর ঢাকা জামা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফুল হাতা জামা কাপড় পড়তে হবে।” জমা জল যাতে বাড়ি আশপাশে না থাকে সেটাও দেখার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি জাপানি এনকেফেলাইটিসের আক্রমণও বিহারের স্বাস্থ্য দফতরের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। ২০০৯ সালে এই রোগের আক্রমণে ৪৬টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। গয়ায় এই রোগে র প্রাদুর্ভাব সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়াও পাশের রাজ্য, ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু আক্রান্ত শিশু গয়ার অনুগ্রহ নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হচ্ছে। এই রোগের আক্রমণে গত তিন মাসে এই হাসপাতালে ৩৮৯ জন শিশুর চিকিৎসা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর টিকাকরণ ভাল হওয়ায় এই রোগে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এ বার সেই কাজে ঘাটতি থেকে গিয়েছে। কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেন, “কেন্দ্রকে বারবার বলা সত্ত্বেও প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও বলেন, “সারা রাজের জন্য এই রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ২ কোটি প্রতিষেধকের প্রয়োজন।” রাজ্য সরকার যতটা পারছে করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়, “পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.