নদিয়ার চাকদহ থানার বেলেডাঙা গ্রামের কুমলে বিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হলেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে ১ জনকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “ওই গ্রামে একটি গণ্ডগোল হয়েছে। তার একটি অভিযোগও হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় কুমলে বিলে মাছ চাষ করে একটি সমবায় সমিতি। এই দিন সকালে খালধারপাড়ার কয়েকজন যুবক এসে বিলে মাছ ধরতে যান বলে অভিযোগ। ওই সমবায় সমিতির সদস্য দিলীপ মল্লিক বলেন, “যেহেতু ওই বিলটিতে আমরাই মাছ চাষ করি, তাই অন্য কারও সেখানে মাছ ধরা অন্যায়। ১৬ বছর আগে ৯৯ বছরের লিজ নিয়েছিলাম আমরা। সেই কারণেই আমরা ওই যুবকরা মাছ ধরার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তখন আমাদের কয়েকজনকে ওরা মারধর করে। বোমাও ছোড়া হয় আমাদের দিকে। তাতে আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।”
এই সংঘর্ষ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সিপিএমের চাকদহ জোনাল কমিটির সদস্য অসীম সরকার বলেন, “ওই বিলটি সমবায় সমিতিরই হাতে রয়েছে। অথচ বেশ কিছু দিন ধরে তৃণমূলের কয়েকজন সমর্থক তা দখল করার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে ইতিমধ্যে জানিয়েওছিলাম।” তিনি বলেন, “এই দিন ওই যুবকেরা অন্যায় ভাবে সমবায় সমিতির লোকজনকে মারধর করেছেন। তাতে আমাদের পাঁচ জন আহত হয়েছেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে কল্যাণী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাদের কেউ ওই বিল দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে যায়নি।” তবে তাঁর দাবি, “ওই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন আমাদের কর্মীরা। সেই সময় ওরা চড়াও হয় আমাদের কর্মীদের উপরে। তাতে আমাদের তিন জন আহত হয়েছেন।”
রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি পরিষ্কার ঠিক কী হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে আমাদের কর্মীরা বিল দখল করতে যাবেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। তবে কোনও অন্যায় হয়ে থাকলে, তাঁরা তার প্রতিবাদ করতে যেতে পারেন।” |