যুবরাজ সিংহ যে এ রকম অসুস্থ, তা জানতেন না বিরাট কোহলি। ইডেন টেস্টের পর যাঁর জায়গায় তিনি ভারতীয় দলে ঢুকেছেন, সেই যুবরাজের অসুস্থতার কথা শোনার পর কোহলি এ দিন বলেছেন, “যুবরাজের অসুস্থতার খবরটা আমি অন্তত কিছুই জানতাম না। জানার পর ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছি। আশা করব, ও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ হয়ে উঠবে।”
মুম্বই টেস্টে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কোহলি বলছেন, “টেস্ট শুরু হওয়ার আগে প্র্যাক্টিসে আমি আধঘণ্টা সচিনের সঙ্গে কথা বলি। পরিষ্কার করে আমার মানসিক অবস্থার কথা সচিনকে বলি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কী ভাবে আমি একটু বেশি সতর্ক হয়ে পড়েছিলাম। কী ভাবে নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছিলাম। সচিন আমাকে খুব সাহায্য করে। ও আমাকে বলে, টেস্ট খেলছ বলেই যে নিজের খেলার স্টাইল বদলাতে হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলো।”
সচিনের পরামর্শ মতো খেলে মুম্বই টেস্টে সফল কোহলি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে দিল্লির এই ব্যাটসম্যান বলছেন, “সত্যি কথা বলতে কী, ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি এক দমই সফল হতে পারিনি। আমি তো হতাশ হয়েইছিলাম, যারা আমার উপর অনেক আশা করেছিল, তারাও হতাশ হয়েছিল। সে জন্য মুম্বই টেস্টটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টেস্ট ক্রিকেটেও আমি নিজের জায়গা পাকা করতে চাই। আমি এ বার অস্ট্রেলিয়া সফরের দিকে তাকিয়ে।”
অস্ট্রেলীয়দের নিয়ে কি বিশেষ কোনও পরিকল্পনা আছে? কোনও বিশেষ বোলারকে টার্গেট করবেন? কোহলির জবাব, “আমরা ওদের সব বোলারকেই দেখেছি। সবাইকে খেলেছি। কোনও বিশেষ বোলারকে মারব ভেবে খেলা যায় না। এটা টেস্ট ক্রিকেট। ওদের সব বোলারই ভাল, সবাই খুব জোরে বল করে।”
কোহলির সঙ্গে আরও এক তরুণ ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিচ্ছেন। এবং ইনিও সাফল্যের জন্য সচিনকেই কৃতিত্ব দিতে চান। মুম্বই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ভারতকে প্রায় জয় এনে দেওয়া প্রজ্ঞান ওঝা এ দিন বলেছেন, “মাঠে সচিন থাকা মানে বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়। তা ছাড়া সচিন সব সময় আমাকে পরামর্শ দিয়ে গিয়েছে। বলেছে,কী ভাবে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে হয়। কী ভাবে ব্যাটসম্যানদের ফ্লাইটে ঠকাতে হয়। অন্তত গোটা পনেরো উইকেট আমি সচিনের পরামর্শে পেয়েছি।” |