|
|
|
|
পূর্বে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সপ্তাহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বন্যপ্রাণ সংরক্ষন সপ্তাহ উদ্যাপন করল পূর্ব মেদিনীপুর বনবিভাগ। শনিবার মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগারের প্রেক্ষাগৃহে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা দিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। পরে বন্যপ্রাণ বিষয়ক আলোচনা ও একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বুদ্ধদেব ভৌমিক, ব্লক আধিকারিক বুলান ভট্টাচার্য প্রমুখ। সৌমেনবাবু বলেন , “বন্য প্রাণিদের নির্ভরযোগ্য ক্ষেত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। পাশাপাশি বাস্তুতন্ত্র রক্ষা, প্রাণী শিকার রোধ, উপকূল এলাকায় ম্যানগ্রোভ অরন্যের প্রতি নজর দিতে হবে।”
জেলায় বনাঞ্চলের অভাব দেখা গিয়েছে। এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকেরই মন্তব্যে সেই কথাই উঠে এসেছে। বুদ্ধদেব ভৌমিকের কথায়, “জেলায় .০৪ শতাংশ বনাঞ্চল রয়েছে। সেখানেই লুপ্তপ্রায় সবুজ কোকিল, প্যাঁচা, গাঙ্গেয় শুশুক ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে। এ জন্য তাজপুর ও মহিষাদলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।” ব্লক আধিকারিক বুলান ভট্টাচার্যের দাবি, “মহিষাদল রাজবাড়ির ঝিল ও পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে একটি নেচার পার্ক করার পরিকল্পনা নেওয়া হোক।” অন্য দিকে, মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সিপিএমের তরফে ‘সরকার বিরোধী’ অভিমত প্রকাশের অভিযোগ তুলেছে তৃনমূল। শুক্রবার তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের মন্তব্যের জবাব এ দিন সৌমেন মহাপাত্র দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যারা দিকভ্রান্ত তাঁরা সরকার বিরোধী কথা বলবেন। উন্নয়ন বিরোধী কথাই বুঝিয়ে দেয় লক্ষণ শেঠরা মাওবাদীদের সহযোগেই নন্দীগ্রাম, কেশপুর, পিংলা দখল করেছিল। আর গুরুদাস দাশগুপ্তের সঙ্গে মাটির কোনও যোগ নেই। দিল্লীতে বসে অনেক কথাই বলা সম্ভব।” |
|
|
|
|
|