|
|
|
|
উদ্যোগী বনবিভাগ |
পশ্চিমাঞ্চল দফতরের টাকায় মার্কেটশেড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গল-লাগোয়া এলাকায় পানীয় জলের জন্য বনবিভাগকে দিয়ে নলকূপ তৈরি, মার্কেটশেড ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার তৈরিতে উদ্যোগী হল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর। এ জন্য খড়্গপুরে সামাজিক বনসৃজন বিভাগকে ৪ কোটি টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল দফতর। এক কোটি টাকা পেয়েও গিয়েছে বনবিভাগ। খড়্গপুরের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “কাজ শুরুর জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করতে চাই।”
হিজলি, বেলদা, কলাইকুণ্ডা, নয়াগ্রাম, চাঁদাবিলা, কেশররেখা রেঞ্জের অন্তর্গত ৩৫টি জায়গায় ‘সিলিন্ডার টিউবওয়েল’ তৈরির পরিকল্পনা করেছে বন দফতর। বনসুরক্ষা কমিটির মাধ্যমেই নলকূপ তৈরি করা হচ্ছে। যাতে জঙ্গলকে যাঁরা বাঁচিয়ে রাখতে সচেষ্ট, সেই বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যরা পানীয় জল পান। প্রতিটি নলকূপের জন্য এক লক্ষ টাকা করে খরচ ধরা হয়েছে। ৩৫টি নলকূপের জন্য খরচ হবে ৩৫ লক্ষ টাকা। বন দফতর জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ৩৫টি বন সুরক্ষা কমিটি এই সুবিধে পেলেও পরবর্তীতে আরও অনেক বেশি কমিটি এই সুবিধা পাবে। মার্কেটশেড তৈরি করা হবে ১১টি। প্রতিটি মাকের্টশেডের জন্য ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পপরআড়া, চন্দনা, বেল্টি, ডহরপুর, খুদমরাই, আগরনালি-সহ ১১টি জায়গায় এই মার্কেটশেড তৈরি করা হবে। বর্তমানে মার্কেটশেড না থাকায় বহু জায়গায় খোলা আকাশের নীচে বাজার বসে। প্রখর রোদে অনেকেই ত্রিপল খাটিয়ে নেন। কিন্তু বর্ষায় চরম বিপদে পড়েন ক্রেতা-বিক্রেতা, দু’পক্ষই। সে জন্যই মার্কেটশেডের ব্যবস্থা। এর সঙ্গে শৌচাগারও তৈরি হবে। মার্কেটশেডগুলি তৈরি করেও বনসুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। শেড ও শৌচাগারের জন্য বিক্রেতাদের অবশ্য ন্যূনতম কিছু টাকা দিতে হবে। যে টাকায় ভবিষ্যতে বাজার সংস্কার করবে বনসুরক্ষা কমিটি। এ ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি ও শৌচাগারও তৈরি করবে বন দফতর। হিজলি, পপরআড়া, খাজরা, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, কলাইকুণ্ডা ও বড়ডাঙাতে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরির পাশাপাশি স্কুলগুলিতে শৌচাগারও তৈরি করা হবে। যার জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। খড়্গপুরের পাশাপাশিই অন্য বন-বিভাগগুলির মাধ্যমেও এই কাজ করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জনানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|