রায়গঞ্জে পরিচ্ছন্নতায় জোর নজর পুরসভার
হর পরিচ্ছন্ন রাখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে রায়গঞ্জ পুরসভা। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে এবং ব্যবসায়ীদের একাংশ রাস্তার পাশে আবর্জনা ফেলে রাখায় দুষণ বাড়ছে। নির্মাণ সামগ্রীর জন্য দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে শহরে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার পরেও ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা সচেতন না-হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান পুর চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “কেবল পুর কর্মীদের কাঁধে দায় চাপিয়ে দিলেই হবে না। ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের পুর আইন মেনে চলতেই হবে। দূষণ মুক্ত পরিবেশের স্বার্থে পুরসভাকে সহযোগিতা করা না-হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।” পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তার ধারে বাসিন্দাদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে রাখছেন। দুর্ঘটনা ঘটছে। ব্যবসায়ীদের একাংশ দিনভর শহরের প্রধান রাস্তার ধারে বেআইনি ভাবে জঞ্জাল ও বর্জ্য মজুত করে রাখছেন। ফলে, দূষণ ও দুর্গন্ধের জেরে বাসিন্দারা বিপাকে পড়ছেন। পুরসভার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি, রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনের পরে আধিকারিক ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মোহিতবাবু বলেন, “শহরের জঞ্জাল ও বর্জ্য অপসারণ করে শহরকে দুষণমুক্ত রাখতে ৬ বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু করেছিল পুরসভা। এই কাজে পুরসভা সফল হওয়ায় একাধিক পুরস্কারও পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশ জঞ্জাল ও বর্জ্য অপসারণের কাজে পুরসভার সাফাই কর্মীদের সাহায্য করছেন না। তাঁরা দিনভর রাস্তার ধারে জঞ্জাল ও বর্জ্য ফেলে রেখে শহরে দূষণ ছড়াচ্ছেন। বাসিন্দাদের একাংশও রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখছেন। সেগুলি রাস্তার ওপর ছড়িয়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।” তিনি জানান, সমস্যার সমাধানের জন্য পুরকর্মীরা কয়েকদিনের মধ্যে শহর জুড়ে প্রচার চালাবেন। তাঁরা বাসিন্দাদের শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী মজুত না করার জন্য অনুরোধ করবেন। পাশাপাশি, পুরকর্মীরা ব্যবসায়ীদের সচেতন করে জানাবেন, প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে সাফাই কর্মীরা যখন জঞ্জাল ও বর্জ্য সংগ্রহ করতে আসবেন, ঠিক সেই সময়ই যেন ব্যবসায়ীরা সেগুলি জঞ্জাল সংগ্রহের গাড়িতে ফেলেন। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে জঞ্জাল ও বর্জ্য অপসারণ করে শহরকে দুষণমুক্ত রাখার কাজে সফল হওয়ায় সম্প্রতি রায়গঞ্জ পুরসভাকে পুরস্কৃত করে রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, চন্দননগর পুরসভা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাফাই কর্মীরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে জঞ্জাল ও বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার পর শহরের মোহনবাটি ও মোহনবাটি বাজার সংলগ্ন নিশিথ সরণি এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশ ফের প্রধান রাস্তার দুই ধারে দিনভর জঞ্জাল ও বর্জ্য মজুত করে রাখছেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও শহরের বিধাননগর, সুদর্শনপুর, মিলনপাড়া, উকিলপাড়া, দেবিনগর, মোহনবাটি সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী ইট, বালি, পাথর মজুত করছেন বলেও অভিযোগ। পুর কাউন্সিলর পবিত্র চন্দ বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল পুরসভার সুনাম যাতে নষ্ট না হয় সে বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা উচিত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.