|
|
|
|
মেঘালয় |
বাঘ-সুমারিতে আগ্রহী নয় কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্যের বাঘ সুমারির আবেদনে কেন্দ্র সাড়া না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মেঘালয় বন দফতর। সম্প্রতি রাজ্যে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা গণনা করার জন্য কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউটের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এখনও তার জবাব মেলেনি। রাজ্যের করা শেষ সুমারি সংখ্যাও মানেনি কেন্দ্র।
রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল এস কুমার জানান, তিন বছর আগে, ‘পাগ মাকর্’ বা থাবার চিহ্ন দেখে মেঘালয়ে বাঘ সুমারি করা হয়েছিল। তখন বাঘের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৪৭টি। তবে ‘অবৈজ্ঞানিক’ পদ্ধতিতে বাঘ গোনার কাজ হওয়ায়, সেই সংখ্যাকে স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্র। কুমার বলেন, “নতুন করে, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপিং’-এর মাধ্যমে বাঘ সুমারি চালাবার জন্য কেন্দ্রের কাছে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছি আমরা। কিন্তু কেন্দ্র কোনও আগ্রহ দেখায়নি।” আপাতত মেঘালয়ে হাতি সুমারি চলছে। পশ্চিম খাসি পাহাড়, রি ভয় জেলা এবং পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ গারো পাহাড়ে হাতির সন্ধান ও গণনার কাজ করা হচ্ছে। ২০০৮-এর সুমারিতে রাজ্যে হাতি ছিল ১৮৬টি। এই সুমারির ফলাফল জানা যাবে নভেম্বর মাসে। তবে রাজ্য সরকার ব্যাঘ্র সুমারি নিয়ে কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ। বনকর্তাদের বক্তব্য, এই রাজ্যে বাঘের উপস্থিতির বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রাী মুকুল সাংমা দিল্লির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কুমারের আক্ষেপ: ঝুম চাষ, নগরায়ন, ব্যাপকভাবে পাহাড় কেটে বসতি প্রসারের ফলে রাজ্যে ঘন বনাঞ্চলের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা। রাজ্যে বনভূমির পরিমাণ ১৯৯০ সালে ছিল ৬৯ শতাংশ। বর্তমানে তা ৬১ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। উত্তর-পূর্বে বৃষ্টিপাতের পরিমানও পাল্লা দিয়ে কমছে। বাড়ছে তাপমাত্রা। সমীক্ষা বলছে, উত্তর-পূর্বের বার্ষিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ০.০৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। মেঘালয়ের বন ও পরিবেশমন্ত্রী প্রেস্টন টিনসং বলেন, “রাজ্য সরকার ঘন অরণ্য বৃদ্ধির জন্য এখন প্রথাগত পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছে। বনভূমির সামগ্রিক পরিমান বৃদ্ধির জন্যও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কেবল অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত অরণ্য নয়, রাজ্য জুড়ে গ্রামভিত্তিক বনসৃজন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলছে।” |
|
|
|
|
|