টুকরো খবর
বনকর্তা নেই জলদাপাড়ায়
দুই মাসের বেশি সময় ধরে ডিএফও না থাকায় অভিভাবকহীন জলদাপাড়া অভয়ারণ্য। বর্তমানে একজনকেই বক্সা ও জলদাপাড়া দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া আছে। জলদাপাড়ার মত বনাঞ্চলে দীর্ঘদিন ডিএফও-র মত পদ ফাঁকা থাকায় জঙ্গলের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ পর্যবেক্ষণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) সিতাংশু শেখর মণ্ডল বলেন, “কোচবিহার ৩ ডিভিশনের জলদাপাড়ার মত বড় মাপের ওই বনাঞ্চল সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। এক জনকে দিয়ে দুটি বনাঞ্চল এই ভাবে চালানো যায় না। তবে ডিএফও নিয়োগের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের হাতে রয়েছে। কবে নতুন ডিএফও আসবেন তা জানি না।” দু’মাস আগে অনিয়মে কোচবিহার ৩ ডিভিশনের ডিএফওকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (পশ্চিম) কর্তা রাজেন্দ্র জাখরের হাতে।

শেষ হল বন্যপ্রাণ সপ্তাহ
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য। নিজস্ব চিত্র।
খড়্গপুরের হিজলিতে শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হল বন্যপ্রাণ সপ্তাহ। অনুষ্ঠানে ছিলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ। তিনি বলেন, “খাদ্যশৃঙ্খল ঠিক রাখতে জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর প্রয়োজন আছে।” তাই বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্য সাধারণ মানুষকেও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে- সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেই বন্যপ্রাণ সপ্তাহ পালন করা হয়। বর্তমানে প্রায়ই বাঘ ঢুকে পড়ে সুন্দরবনের গ্রামগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হাতির উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ট। কিন্তু অনেকেই আছেন যাঁরা বন্যপ্রাণীদের বাঁচানোর জন্য নানা কাজ করছেন। এমন ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বন দফতরের কর্মীদের এ দিন পুরষ্কৃতও করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রাকেশ সিংহ, ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা, মিলনকান্তি মণ্ডল-সহ বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা। বন দফতরের কর্তারা জানান, বন্যপ্রাণীদের বাঁচানোর জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে তারা লোকালয়ে না ঢোকে। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা ঘটে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বন্যপ্রাণীর উপর আক্রমণ করে, তাদের মেরে ফেললে ক্ষতিই হবে।

হনুমানের তাণ্ডব
--নিজস্ব চিত্র।
হনুমানের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ধান্যকুড়িয়া, নদিয়া এবং বাদুড়িয়ার জগন্নাথপুরের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে হনুমানের আক্রমণে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আতঙ্কে তটস্থ গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে বন দফতরে জানানো হয়েছে। ব্লক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরেই হনুমানের উপদ্রব বেড়েছে। তাদের অত্যাচারে ছাদে জামাকাপড় মেলা যাচ্ছে না। বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত ঢুকে পড়ছে তারা। রান্নাঘরে ঢুকে হাঁড়ি থেকে ভাত খেয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় পথচারিদের আক্রমণ করছে। ধান্যকুড়িয়ায় বেশ কয়েকটি হনুমান আস্তানা গেড়েছে। তাদের কামড় খেতে হয়েছে লোকজনকে। শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হনুমান ধরতে বন দফতর খাঁচা পাতলেও তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি। জগন্নাথপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সামসের মোল্লা বলেন, “বেশ কয়েকটি গ্রামে হনুমান তাণ্ডব চালাচ্ছে। আঁচড়ে-কামড়ে মানুষকে জখম করছে। বন দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’-একদিনের মধ্যে বনকর্মীরা এলাকায় যাবেন।

ময়াল উদ্ধার
১২ ফুট লম্বা একটি ময়াল উদ্ধার করে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়লেন বনকর্মীরা। রবিবার দুপুরে দুপুরে পাটকাপাড়া বাগানের শ্রমিক লাইনে ময়ালটিকে দেখতে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা তা ধরে রেখে বন দফতরের কর্মীদের খবর দেন।

বাসিন্দাদের দাবি
হাতি তাড়াতে সার্চলাইট, পটকার দাবি জানাল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চল লাগোয়া পানবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। ওই এলাকায় প্রতিরাতে দল বেঁধে বুনো হাতিরা হামলা চালাচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। মশাল জ্বালিয়ে হল্লা করে হাতিদের জঙ্গলমুখো করা যাচ্ছে না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.