টুকরো খবর
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গোলমাল গোঘাটে
কালীমন্দির বানাতে গিয়ে কাটা হয়েছিল দু’টি গাছ। বন দফতরের অনুমতিও নেওয়া হয়নি। গোঘাটের কুমারগঞ্জ বাজারে এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি। ঘটনার কথা বনদফতরের আরামবাগের চাঁদুর শাখার তরফে জানানো হয়েছিল গোঘাট ২ বিডিওকে। রবিবার বিকেলে বিডিও, বন দফতর ও পুলিশের লোকজন গিয়ে কাটা গাছ দু’টি বাজেয়াপ্ত করে। গাছ কিনতে এসেছিলেন শুকদেব পাত্র নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। তাঁকে আটক করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বাজার কমিটি। বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত সামন্ত বলেন, “আমরা পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই শিরিষ গাছ দু’টি কেটে বিক্রি করেছি। এ ব্যাপারে আমাদের কমিটিতে লিখিত সিদ্ধান্তও হয়। তা ছাড়া, একটি গাছ সুবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। তিনি কালীমন্দির নির্মাণে তা দান করেছেন। অন্য গাছটি বাজার কমিটির জায়গায়।” গাছ কাটতে বন দফতরের অনুমতি লাগে বলে তাঁদের জানা ছিল না বলে দাবি সঞ্জিতবাবুর। গাছ কাটার আইন-কানুন নিয়ে সাধারণ মানুষের ‘অজ্ঞতা’র জন্য বন দফতরকেই দায়ী করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেন ওই ব্যবসায়ী। প্রচারের গাফিলতি মেনে নিয়েছেন বন দফতরের চাঁদুর শাখার রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “গ্রামবাসীরা যথেচ্ছ ভাবে গাছ কাটছেন। আমাদের জানানো হয়েছিল, কুমারগঞ্জে যে গাছ দু’টি কাটা হয়েছিল, তা বন দফতরের। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গাছ দু’টির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোঘাট ২ বিডিও অনির্বাণ সোম। কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামাপদ মুদি বলেন, “ওঁরা আমাকে মৌখিক ভাবে গাছ কাটার বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি আপত্তি করিনি।” গাছ কাটার সরকারি আইন তিনিও জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন শ্যামাপদবাবু।

ছ’টি স্কুলে প্রার্থী দিলেন না বামেরা
আরামবাগ মহকুমার পাঁচটি স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল বামফ্রন্ট। সব ক্ষেত্রেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। প্রশাসন সূত্রের খবর, খানাকুলের বলপাই পিসি সেন বিদ্যামন্দির, কুমারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, জয়রামপুরের পঞ্চানন চক্রবর্তী বিদ্যাপীঠ, সেকেন্দারপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং আরামবাগের ছান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ঠিক হয়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল শনিবার। তৃণমূল বাদে কোন দল জমা করেনি। সিপিএম নেতা বংশীবদন মৈত্রের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পনা করে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের অবশ্য বক্তব্য, “এত দিন গায়ের জোরে সিপিএম বিভিন্ন স্কুলের পরিচালন কমিটি দখলে রেখেছিল। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। শোচনীয় হারের আশঙ্কাতেই ওরা প্রার্থী দেয়নি।” অন্য দিকে, পোলবা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনেও বিনা লড়াইতেই জয়ী তৃণমূল। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ক্ষমতা সিপিএমের হাতে ছিল।

জওহরলালের জন্মদিন পালিত হল উত্তরপাড়ায়
সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে রবিবার জওহরলাল নেহরুর ১২২ তম জন্মদিবস পালিত হল উত্তরপাড়া সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে। এ দিন সংগঠনের কার্যালয়ের সামনের মাঠে ওই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়। আয়োজিত হয় স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবির। সংগঠকেরা জানান, ২৯৪ জন ওই শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁদের পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি, চক্ষু পরীক্ষা এবং চশমা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও, কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পুস্তক বিতরণ করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নালিকুলের মা সারদা মঠ ও মিশনের মাতাজি প্রব্রাজিকা সেবাপ্রাণা, উত্তরপাড়ার বিধায়ক অনুপ ঘোষাল-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

পার্টি অফিসে হামলা বালিতে
সিপিএমের একটি স্থানীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বালিতে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে দু’পক্ষই। পুলিশি সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বালির মোহনলাল বালাওয়ালা রোডে সিপিএমের কার্যালয়ে সভা চলছিল। সিপিএমের অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের শ’খানেক সমর্থক কার্যালয়ে হামলা চালায়। বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে আটকে রাখে দলীয় সদস্যদের। তৃণমূলের বক্তব্য, ওখান দিয়ে তাদের মিছিল যাচ্ছিল। সেই সময় সিপিএমের ওই অফিস থেকে মিছিলে চায়ের ভাঁড় ছোড়া হয়। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। বিক্ষোভ দেখানো হয় পার্টি অফিসের সামনে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। রবিবার সকালে, বালির বাদামতলায়। মৃতের নাম জয়নারায়ণ রায় (৫৫)। পুলিশ জানায়, জয়নারায়ণবাবু থাকতেন মালিপাঁচঘড়ায়। বাড়ি-বাড়ি দুধ বিক্রি করতেন তিনি। এ দিন সাইকেলে উত্তরপাড়া যাওয়ার সময়ে তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি লরি। ছিটকে পড়লে লরির চাকায় তাঁর দেহ পিষে যায়। লরিচালক গ্রেফতার হয়েছে।

কোথায় কী
১১ তম উত্তরপাড়া বইমেলা। পরিচালনায় সমন্বয়। ৪-১১ ডিসেম্বর। স্থান উত্তরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন মনমোহন উদ্যান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.