ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মারামারি হল খানাকুলে। শনিবার রাতে গুজরাত গ্রামে ওই ঘটনার জেরে জখম হন ৫ জন। তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় বিকাশ মণ্ডল, অমর বাগ, প্রভাত ভৌমিক, বাসুদেব মণ্ডল এবং সুশীল নন্দী নামে পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকারও করেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম-আশ্রিত দুকৃতীরাই আমাদের দলে ঢুকে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। দু’পক্ষের দু’ষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাদের তাড়ানো হবে। পুলিশকেও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।” শনিবার রাতে গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। তারা জানিয়েছে, কোনও পক্ষ থানায় এখনও নালিশ জানায়নি। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত মাস পাঁচেক ধরে তোলা আদায় এবং গ্রাম্যবিবাদে সালিশি প্রভৃতি বিষয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল চলছে গুজরাত এবং সংলগ্ন চুয়াডাঙা এলাকায়। সম্প্রতি এক গোষ্ঠীর হাতে অন্য গোষ্ঠীর কয়েক জন মারধর খায়। তারই ‘শোধ’ তুলতে শনিবার হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিকাশ মণ্ডল জানান, কয়েক জন তৃণমূলের লোক আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সমস্ত রকম উন্নয়ন স্তব্ধ করে ‘অরাজকতা’ চালাচ্ছে। অসিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা কয়েক জন। সে জন্যই হামলা হয়েছে। অসিতবাবু বলেন, “বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা দুষ্কৃতীরা অশান্তি করছে। উপর মহলে বিষয়টি জানিয়েছি।”
গোপাল মাইতি নামে বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর এক নেতা বলেন, “অসিতের নেতৃত্বে ব্যাপক তোলাবাজি, ঠিকাদারদের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় চলছিল। প্রতি দিন বোমাবাজি করে মারধরের ঘটনা ঘটছিল। তারই প্রতিবাদ করেছেন গ্রামের মানুষ।” |