|
|
|
|
আজ প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন হাওড়ায়। তাঁর সঙ্গে আসছেন ১৮টি দফতরের মন্ত্রী, মুখ্যসচিব-সহ ১৮টি দফতরের প্রধান সচিবেরা। আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। জেলাশাসক, হাওড়া সদর এবং উলুবেড়িয়া এই দু’টি মহকুমার দুই মহকুমাশাসক, ১৪টি ব্লকের বিডিও এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা ওই বৈঠকে হাজির থাকবেন। হাওড়া পুরসভার মেয়র, বালি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার দুই চেয়ারম্যান, জেলা সভাধিপতি, ১৫৭টি পঞ্চায়েতের প্রধান এবং ১৪টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের কাউকেই অবশ্য বৈঠকে ডাকা হয়নি। বৈঠকে ডাকা হয়নি বিধায়কদের। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, জেলার এমন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন। এর আগে যে সব জেলায় মুখ্যমন্ত্রী সফর করেছেন সেখানেও তিনি এটাই করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বৈঠকে মূলত যে সব বিষয় আলোচিত হতে পারে তা হল, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং তাতে যে সব বাধা আসছে সেই প্রসঙ্গ। একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে হাওড়া জেলার হাল বেশ খারাপ। চলতি আর্থিক বছরে জেলায় মাত্র ৯ দিন কাজ হয়েছে এই প্রকল্পে। রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রেও সমস্যা গভীর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী জেলা পরিষদে এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের পরে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্পে কতটা অগ্রগতি হয়েছে সে সব বিষয়ও উঠতে পারে আলোচনায়।
জেলায় গ্রামীণ হাসপাতাল এবং উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সর্বশেষ পরিস্থিতি, চিকিৎসকেরা নিয়মিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছেন কিনা, সে প্রসঙ্গও উঠতে পারে। বাগনানে রেলওয়ে উড়ালপুলের নির্মাণকার্য চলছে বেশ ধীর গতিতে। কাজটি করছে রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতর। এ দিকে, উড়ালপুল তৈরি না-হওয়ার ফলে বাগনান লেভেলক্রসিংয়ে তীব্র যানজট হচ্ছে। উড়ালপুল তৈরিতে দেরির কারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আমতা ২ এবং উদয়নারায়ণপুরে স্থায়ী ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। দামোদরের পশ্চিম দিকে কোনও বাঁধ নেই। এই দিকেই আমতা ২ এবং উদয়নারায়ণপুর ব্লক। ডিভিসি জল ছাড়লে তা দামোদরবাহিত হয়ে হাওড়ায় এসে উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা ২ ব্লককে ভাসিয়ে দেয়। ‘স্পিল’ এলাকা বলে সেচ দফতর দামোদরের পশ্চিম দিকে কোনও বাঁধ দেয় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে অবশ্য দামোদরের পশ্চিম দিকে বাঁধ তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা হয়েছে। সেচ দফতরের বাস্তুকারদের একাংশ মনে করেন, স্পিল এলাকায় বাঁধ দেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে উচ্চতা একটু কম রাখতে হবে। সেটা হলেও বাসিন্দারা বড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন। এটা করা সম্ভব কিনা, তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে পারবেন জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরের কর্তারা।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, কাজের ক্ষেত্রে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে এবং কেন তার সমাধান করা যাচ্ছে না তার ফাইল তৈরি করা আছে। জেলায় রাস্তাঘাট-সহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজকর্মের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হল টাকার অভাব। সুযোগ পেলে এই সমস্যার কথাও তোলা হবে।
বৈঠকটি হবে নিউ কালেক্টরেট ভবনের ‘পথের দাবি’ অডিটোরিয়ামে। এখানে রয়েছে মোট ১২০টি আসন। দুপুর ১২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর আসে পৌঁছনোর কথা। তার আগে রবিবার থেকেই জেলার প্রশাসনিক চত্বর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে। মাওবাদী নেতা কিষেণজি নিহত হওয়ার পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আরও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে হাওড়া পুলিশ কমিশনার দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে, সোমবার হুগলিতেও প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী চুঁচুড়ায় এ দিন বৈঠকে হাজির থাকছেন না। |
|
|
|
|
|