স্কুল এবং গ্রন্থাগারের ভোটকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দু’জায়গায় সংঘর্ষে জড়াল সিপিএম ও তৃণমূল। আহত হলেন দু’পক্ষের অন্তত ৯ জন। তবে কোনও জায়গাতেই গোলমালের জন্য ভোট-প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি।
হাবরার লক্ষ্মীপুরে স্বামীজি সেবাসঙ্ঘ হাইস্কুলে এ দিন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতি ছিল বামেদের দখলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গোলমাল বাধে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। দু’পক্ষই পরস্পরের উপরে লাঠি-ইট নিয়ে ‘চড়াও’ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে কোনও পক্ষই রাত পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সিপিএমের অসীম ঘোষের অভিযোগ, “কয়েকশো তৃণমূল সমর্থক আমাদের উপরে হামলা চালায়। আমাকে মারধর করে। আমাদের আরও দু’জন জখম হন। পরিচালন সমিতি দখল করতেই এই হামলা।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের হাবরা-১ ব্লক সভাপতি অজিত সাহা। তাঁর পাল্টা দাবি, “বিনা প্ররোচনায় সিপিএমের লোকজন আমাদের কর্মী-সমর্থকদের হামলা চালায়। এত দিন এ ভাবেই জোর করে ওরা এই ভোট জিতেছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক কর্মী জখম হন বলে তাঁর দাবি।
শ্যামনগরের মুলাজোড়ের ভারতচন্দ্র গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির ভোটেও এ দিন দু’পক্ষে ঝামেলা বাধে। গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতিও সিপিএমের দখলেই ছিল। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রায় ৩০ জন সমর্থক মোটরবাইকে চেপে এসে তাদের কর্মী-সমর্থকদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে পেটায়। বুথ ভাঙচুর করে।
বাধা দিতে গিয়ে জখম ৫ দলীয় কর্মীকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে জানিয়ে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তড়িৎ তোপদারের অভিযোগ, “হেরে যাওয়ার ভয়েই ওরা হামলা করল।” তবে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক পরশ দত্তর দাবি করেছেন, “গোলমাল-মারামারি হয়নি। সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছিল। সেটাকেই সিপিএম এখন বড় করে দেখাচ্ছে।”
|
উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল বন্দরের একটি মুদ্রা বিনিময়কেন্দ্রে হানা দিয়ে রবিবার ১০০ টাকার নোটে ১২,৬০০ টাকার জাল ভারতীয় নোট উদ্ধার করল পুলিশ। মিলেছে মোবাইল ফোনের কিছু বাংলাদেশি সিম-কার্ড, ভুয়ো সচিত্র পরিচয়পত্র, রেশন কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স। জাল নোটের কারবারে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কেন্দ্রের ৩ কর্মীকে।
|
স্কুল নির্বাচনে জিতল তৃণমূল |
স্কুলের অভিভাবক সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে আঁতপুর বালিকা বিদ্যালয় ও খড়দহের পাতুলিয়া গার্লস স্কুলের অভিভাবক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দু’টি স্কুলেই সব আসনে জেতে তৃণমূল। |