বড়দিনের আগেই সান্তাবুড়ো, ক্রিসমাস ট্রি-র আলোয় সেজে উঠবে পার্ক স্ট্রিট!
২৫ ডিসেম্বরের অনেকে আগেই কেক, পেস্ট্রি, হরেক মিষ্টির স্বাদ-গন্ধ-ক্যারোলে ‘ক্রিসমাস উৎসব’ শুরু হয়ে যাবে সাহেব পাড়ায়। কলকাতায় এমন উৎসব এই প্রথম! অন্তত এমনটাই দাবি উদ্যোক্তাদের অন্যতম, তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের। ১২ ডিসেম্বরের শীত-সন্ধ্যায় ‘ক্রিসমাস ট্রি’-র আলো জ্বেলে ওই উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত তাঁর ইচ্ছেতেই বড়দিনের আগে মহানগরীতে এমন একটা উৎসব আয়োজনের কথা মাথায় আসে উদ্যোক্তাদের। আর সেই ভাবনাতেই এ বছর দু’দিনের ‘ক্রিসমাস উৎসব’।
মুখ্যমন্ত্রী ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অ্যালেন গ্রাউন্ডে বোতাম টিপে ক্রিসমাস ট্রি-র আলো জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বর্ণিল হয়ে উঠবে পার্ক স্ট্রিট। মাইকে ভেসে আসা বাংলা ও ইংরেজি ক্যারোলে তখন সেখানে একেবারে বড়দিনের রাতের আবহ! কোনও গির্জায় গিয়ে নয়, রাস্তার ধারে ও অ্যালেন গ্রাউন্ডে ক্যারোলের সুরে ক্রিসমাস উৎসবের মৌতাতে মেলা বসবে পার্ক স্ট্রিটে ১৮ ডিসেম্বর। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ডেরেকের কথায়, “ওই দিন ক্রিসমাস উৎসবের মেলা বসবে পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাথ জুড়ে। এর জন্য ওই চার ঘণ্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল কলকাতা পুলিশকে। অনুমতিও মিলেছে।” সহায়তা করবে রাজ্যের পর্যটন দফতরও। ক্রিসমাস কেক-পেস্ট্রি, ওয়াইন তো থাকবেই, থাকবে বাঙালি খাবারও। মায় গোয়ানিজ, নেপালি, চিনা রসনাও। সুগন্ধি খাবারের পসরা নিয়ে বিকিকিনির হাট বসবে শহরের অভিজাত পথে। দুঃস্থ, গরিব বাচ্চাদের হাতে বাহারি উপহার তুলে দেবেন উদ্যোক্তারা।
আসলে নভেম্বরের শেষ রবিবার থেকেই খ্রিষ্টানদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বড়দিন পালনের প্রস্তুতি। মানুষকে খাইয়ে, দান করে ‘পুণ্য’ অর্জন করার এমন ‘ক্রিসমাস উৎসবে’র আমেজ তাই কলকাতা ছাড়িয়ে মফস্সলেও ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা। ডেরেক বলেন, “এ বার ছোট করে শুরু করছি ক্রিসমাস উৎসব। আগামী বছর থেকে জেলাগুলিতেও এই উৎসব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। শুধু খ্রিস্টানদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না-থেকে সব স্তরের মানুষের মধ্যে এই উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক, সেটাই চাই।” |