|
|
|
|
খুচরো-ধর্মঘটে সায় সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির কেন্দ্রীয় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামবে সিপিএম।
কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায় ধর্মঘট ডেকেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’। সিপিএম ওই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। বামফ্রন্টের শরিক এবং ফ্রন্টের বাইরে থাকা বামপন্থী দলগুলিও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে। ফ্রন্ট বহির্ভূত অন্যতম বাম দল সিপিআই (এমএল) লিবারেশনও কনফেডারেশনের ধর্মঘটকে সমর্থন করছে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী রবিবার বলেন, “কনফেডারশনের ধর্মঘটকে সমর্থন করার পাশাপাশিই সমস্ত খুচরো ব্যবসায়ীর কাছে আবেদন, কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করাতে পাড়ায় পাড়ায় আন্দোলন গড়ে তুলুন।”
শ্যামলবাবুর বক্তব্য, এ দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষ খুচরো ব্যবসায় যুক্ত। বিদেশি সংস্থাগুলি ওই ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করলে তাঁরা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠবেন না। শ্যামলবাবুর কথায়, “পৃথিবীর ১৭টি দৈত্যাকার সংস্থার নিজেদের দেশের বাজারে আর ব্যবসার জায়গা নেই। তাই তারা অন্য দেশের বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। যেমন ওয়াল মার্ট। তাদের সম্পত্তি পৃথিবীর ২০০টি দেশের চেয়েও বেশি। ভারতের দিকে এই সংস্থাগুলি শকুনির চোখে তাকিয়ে আছে। কারণ এখানে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার বাজার আছে।”
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে শ্যামলবাবুর আরও যুক্তি, এতে এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হলেও ৪০ লক্ষ লোকের আয় ধ্বংস হবে। তা ছাড়া, ওই বিদেশি সংস্থাগুলি নিজেদের পণ্য সস্তায় বিক্রি করার লক্ষ্যে কৃষকের কাছ থেকে কম দামে ফসল কিনবে। আর কৃষক তাতে রাজি না হলে তাঁর ফসল ঘরেই পচবে! প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের শরিক তৃণমূলও খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিরোধিতা করছে।
সে প্রসঙ্গে শ্যামলবাবুর বক্তব্য, “এই বিরোধিতা আন্তরিক কি না, বা এতে কতটা লাভ হবে, সেটা পরে বিবেচ্য। ওরা যে বিরোধিতা করছে, এটাই ভাল।” শ্যামলবাবু এ কথা বললেও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি কিন্তু মনে করেন, “ওই বিষয়ে তৃণমূলের যাবতীয় বিরোধিতা বাইরে! মন্ত্রিসভার ভিতরে যদি তারা প্রতিবাদ করত, তা হলে অন্তত কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কিছুটা বিলম্বিত হত।” |
|
|
|
|
|