|
|
|
|
সিপিএম নেতার জমির ধানে আগুন কাঁকসায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁকসা |
পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বেশ কয়েক বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সিপিএম সভাপতি সুভাষ সাহার দাবি, মোট প্রায় ১৫ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে তাঁর। কাঁকসা থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে মাধবমাঠে সুভাষবাবুর বাড়ির খামারের ধানের গাদায় প্রথম আগুন লাগে। সুভাষবাবুর বাড়ির লোকজন জেগে উঠে দেখেন, বড় আগুন লেগেছে। তাঁরা দমকলে খবর দেন। কাঁকসা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তত ক্ষণে অবশ্য গাদার একটি বড় অংশ পুড়ে গিয়েছে। |
|
খামারে ডাঁই করে রাখা পোড়া ধান। নিজস্ব চিত্র। |
এর পরে সকালে চাষিরা মাঠে গিয়ে দেখেন সুভাষবাবুর জমিতে ডাঁই করে রাখা ধানের গাদাও পুড়ে গিয়েছে। এই খবর পেয়ে মাঠে যান সুভাষবাবু। তিনি বলেন, “বাড়ির খামারে প্রায় দশ বিঘা জমির ধান রাখা ছিল। তা নষ্ট হয়েছে। মাঠে আরও ৫ বিঘা জমির ধান পুড়ে গিয়েছে। আমার বড় ক্ষতি হয়ে গেল।” তিনি জানান, বাড়ির সামনে ও মাঠে, দু’জায়গাতেই একটি করে ছোট শিশি মিলেছে। তাতে কেরোসিন তেলের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, “আমার ধারণা, আগুন লাগানোর জন্য দুষ্কৃতীরা ধানের গাদায় কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়েছিল। পুলিশকে সে কথা জানিয়েছি।” এ দিকে, সুভাষবাবুর বাড়ি ও মাঠের ধানে আগুন লাগানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় চাষিরা। তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে ফসল পুড়িয়ে দেওয়া হলে পথে বসবেন তাঁরা। পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সিপিএমের কাঁকসার জোনাল কমিটির সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল বলেন, “যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রশাসনের উচিত দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা। তা না হলে এলাকার চাষিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন।” ঘটনার নিন্দা করেছেন কাঁকসা ব্লক তৃণমূল সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “পুলিশ দ্রুত এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।” শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। |
|
|
|
|
|