রবিবারের প্রসঙ্গে উঠতেই মনে পড়ে বাবার কথা। আসলে মাত্র চার বছর বয়সে মাকে হারিয়ে বাবাই আমার সব। এমনিতে ছোটবেলাটা কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে। কখনও পটনা, কখনও মীরাটে। বাবা আর্মিতে চাকরি করতেন। লম্বা-চওড়া সুঠাম শরীর, আমি বাবার ধাতটাই পেয়েছি। শুধু কী তাই! বাবার বোহেমিয়ান স্বভাবটাও আমি কেমন করে যেন রপ্ত করে ফেলেছিলাম।
ছেলেবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই বড় হয়ে উঠেছি। প্রতি রবিবার বাড়ির হলঘরে বসত নাচ-গান কিংবা নাটকের আসর। আমার বয়স তখন দশ কি এগারো। রবিবার হলেই সকালে দাদা একটা বড় স্ক্রিন টাঙিয়ে দিতেন বড় চাদর, কাপড় যা পেত হাতের কাছে, আর পর্দার সামনে আমরা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব মিলে নেমে পড়তাম অনুষ্ঠান করতে। কখনও ‘রথের রশি’, কখনও বা ‘ডাকঘর’ নাটক অভিনয় করতাম। আত্মীয়স্বজনরা দেখতে আসতেন ছেলেপুলেদের এ সব হট্টগোল। রেডিয়োতে ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয়ও করেছিলাম।
এ সময়টা আমরা থাকতাম কলকাতায় রিচি রোডের বাড়িতে। প্রথমে হিন্দিতে পড়াশোনা শুরু করলেও, প্রথাগত শিক্ষা খুব বেশি এগোয়নি। তবে বাবার মতো সুপণ্ডিতের সান্নিধ্যে ইংরেজি সাহিত্য চর্চা চলত বাড়িতেই। রবিবার এই বিদেশি ভাষার চর্চা করাটাও আমার মুখ্য আকর্ষণ ছিল। বাবা শুধু পড়াশোনা দিয়ে আটকে রাখতেন না, ঘুরতে নিয়ে যেতেন আমাদের। মায়ের অভাবটা বুঝতে দেননি কখনওই। আমাকে কাঁধে চড়িয়ে রথের মেলা দেখাতেন, পুজোমণ্ডপে ঘোরাতেন। সবটাই ছিল ছবির মতো। কখনও পদ্মপুকুরের আশপাশ দিয়ে চিনেবাদাম খেতে খেতে ছুটির মজা উপভোগ করতাম রবিবার।
আমার বেশ মনে পড়ে ভানুদি বলে এক জন রান্না করতেন বাড়িতে। তাঁর হাতে পাঁঠার মাংসের স্বাদ আজও ভুলতে পারিনি। তবে খাওয়াদাওয়ার চেয়ে আমার আগ্রহের জায়গাটা ছিল অন্য।
তখন স্বাধীনতার ঢেউ চার পাশে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর আনাগোনা। আমিও এক এক দিন সেই ফৌজের অংশীদার হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি। এমনকী ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট, অর্থাৎ স্বাধীনতার আগের দিন সারা রাত আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে ঘুরেছি।
শুনলে হয়তো আজ অনেকেই চমকে উঠবেন, কী এক খেয়ালের বশে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে করেছিলাম। শ্বশুরবাড়ির তাগিদে কিছুদিন পরই চলে গেলাম বিলেতে।
আমি কলকাতায় থাকতে সলিল চৌধুরীর গণনাট্যের গানের খুব ভক্ত ছিলাম। লন্ডনে গিয়ে প্রতি রবিবার ‘নব জীবনের গান’ নিয়ে বসত একটা আসর। ওখানকার বাঙালিদের নিয়ে চলত আড্ডা। লন্ডনে স্কুলে ভর্তি হলাম। চলতে লাগল পড়াশোনা। খুব অল্প বয়সেই দুই ছেলের মা হলাম। ওখানে আর সামলে ওঠা গেল না। ফিরে এলাম কলকাতায়। ভর্তি হলাম লেডি ব্রাবোর্ন কলেজে। স্কলারশিপ নিয়ে পাশ করলাম। এর পর মেটা-ফিজিক্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলাম।
এরই মধ্যে ফিল্মের অফার এল। প্রথম ছবি শ্রীমতী পিকচার্সের ‘অনন্যা’। আর পাঁচটা বাঙালির মতো আমিও ছিলাম উত্তমকুমারের ফ্যান। আমার বউদি অভিনেত্রী কাবেরী বসু এক দিন নিয়ে গেলেন ‘রাইকমল’ ছবির সেটে। নায়ক উত্তমকুমারকে চাক্ষুষ করলাম। কিছু দিন পরই ‘বিভাস’ ছবিতে নায়িকার চরিত্র করার ডাক পাই। এই সুযোগ পেয়ে আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। স্টারডম শুরু হওয়ার পর থেকে রবিবারগুলো বদলে গেল অনেকটাই।

আমার প্রিয়

লেখক: রবীন্দ্রনাথ
বেড়ানোর জায়গা:
লন্ডন, রোম (স্মৃতিতে ঘোরে), পুরী
পোশাক: শাড়ি তো বটেই। ওয়েস্টার্ন স্মার্ট ক্যাজুয়াল আউটফিট
অভিনেতা-অভিনেত্রী: উত্তমকুমার, অমিতাভ বচ্চন, সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া, সাবিত্রী
গায়ক-গায়িকা: হেমন্ত, কিশোর, সন্ধ্যা, সুচিত্রা মিত্র, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তমদার সঙ্গে আমৃত্যু সম্পর্ক ছিল। ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’, ‘জয় জয়ন্তী’ এ সব ছবিতে উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। কখনও রবিবারে উত্তমদার ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতেও চলে গিয়েছি। বেণু প্রচুর রান্নাবান্না করে খাওয়াত। নাচ-গান হইহুল্লোড়, শ্যামল মিত্র আসতেন সেই আড্ডায়। আমিও গান গাইতাম।
ফিল্ম আমাকে নিজস্ব আইডেনটিটি দিল। হঠাৎ করেই চলে গেলাম মুম্বই। ফিরোজ খানের সঙ্গে ‘রাত আন্ধেরী থি’ ছবিতে কাজ করলাম। ছেলেদের নিয়ে একাই থাকতাম। রবিবারে একটু দেরি করে উঠতাম। আমার বাড়িতে রবিবারে আড্ডা বসত। আসতেন রাজেশ খন্না সহ অনেকেই। জুহু হোটেলের রবিবারের আড্ডায় ধর্মেন্দ্র, প্রাণ আসতেন। দুপুর গড়িয়ে সেই আড্ডা চলত রাত পর্যন্ত। পাঁচটা সাড়ে পাঁচটায় লাঞ্চ হত। সে সব আজ কোথায়?মুম্বই থেকে প্রায় দশ বছর পর ফিরে এলাম কলকাতায়। পাকাপাকি ভাবে শুরু হল যাত্রাভিনয়। এক নতুন অধ্যায়। যাত্রা আমাকে, অর্থাৎ অভিনেত্রী ললিতাকে ভরিয়ে দিল অনেকটাই। ‘হ্যামলেট’, ‘তিন পয়সার পালা’ আমাকে যাত্রার অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সারা সপ্তাহ এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে শো করে বেড়াতাম। কিন্তু রবিবার কোনও শো রাখতাম না। ভালমন্দ রেঁধে খাওয়াতাম সকলকে। ‘ফ্যান্সি ডিশ’ তৈরির ঝোঁকটা আজও আছে।
আমি বরাবরই রবীন্দ্রনাথের ভক্ত। অবশ্য কোন বাঙালিই নন? ছেলেবেলায় আবৃত্তি শুনিয়ে দিদি ঘুম পাড়াত। আজও ফাঁক পেলেই হারমোনিয়ম নিয়ে গান শুরু করে দিই। রবীন্দ্রসঙ্গীত, অথবা রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাঠ করি। তবে একটা ছেলেমানুষি আজও ছাড়তে পারিনি। সেটা হল সিনেমা দেখার অভ্যাস। আজও ক্রাইম থ্রিলার দেখতে সিনেমা হলে চলে যাই।
শরীরচর্চার অভ্যাস আছে আজও। মাঝে মধ্যে সিরিয়ালের শুটিং চলে। পরিবার, পড়াশোনা, অভিনয় এ সব নিয়েই চলেছি বরাবর। আর আজকের রবিবারে আর একটা শখ এসে চেপেছে ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখানোর কাজ। রবিবার সকালে নানা ধরনের মানুষ বাড়িতে আসেন। পেশা, ব্যক্তিত্ব, বয়স অনুযায়ী ম্যানারিজম ও স্পোকেন ইংলিশ শেখাই এটা আমার খুব ভাল লাগে। আমাকে তৃপ্তি দেয় নানা ভাবে। জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই। শুধু মনে হয় এমন একটা চরিত্র যদি পাই তবে চুটিয়ে অভিনয় করে যাই।
নিজেকে অনেক বার ভেঙে গড়েছি। জানি না, আমার কথা কারও মনে থাকবে কি না।

সাক্ষাৎকার অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
ছবি: রাজীব বসু
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
ঘোষ বহু দিন হল জেলে। তাঁকে ছাড়ানোর জন্য বাঘা উকিলরাও ফেল! এই কারণেই আবেদন: টলি পাড়ায় যাঁরা অন্য ধারার ছবি বানান, তাঁরা যদি এই মুহূর্তে একটি ছবি করেন: ‘তারে জামিন কর’!
বাপী। ব্যান্ডেল

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার দিন বিরোধী নেতা সূর্যবাবু আবার হেসে সভাঘর আলো করলেন। ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ গীত গাইলেন: ‘আমি অন্ধকারের যাত্রী, প্রভু আলোর দৃষ্টি দাও’! এই ভাবে আঁধার জীবন ছেড়ে কেউ কেউ যখন আলোর দিকে ফিরতে চাইছেন, তখনই যুবভারতীতে মোহন-ইস্ট হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আলো নিভে গেল! এ দিকে আবার কং-তৃণমূলের কেউ কেউ সম্পর্কের বাতি নিভিয়ে দিতে চাইছেন! মনে হয় মানুষ এগুলোকে ‘লাইট’ ভাবে নিচ্ছে না!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

যুবভারতীতে ম্যাচ চলাকালীন আলো নিভে যাওয়াটা এখন যে ভাবে একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তাতে পরবর্তী কালে দর্শকদের মাঠে ঢোকার সময় হাতে হ্যারিকেন নিয়ে ঢুকতে হবে!
অতীশচন্দ্র ভাওয়াল। কোন্নগর

বড় ম্যাচে উপচে পড়া যুবভারতী দেখে সি এ বি হয়তো এর পর ইডেন ভরাতে প্রতিপক্ষ দুই দলকে লাল-হলুদ আর সবুজ-মেরুন জার্সি পরিয়ে নামাবে!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

যুবভারতীর এখন আর একটা নাম ডুব (আঁধার) ভারতী!
হীরালাল শীল। কলেজ স্ট্রিট

ইমেজ পাল্টাতে প্লাস্টিক সার্জারি নয়, সিপিএমের দরকার ল্যাঙ্গুয়েজ সার্জারি!
অরূপরতন আইচ। কোন্নগর

শহরে পানশালার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি গান কানে এল বার-এ বার-এ কে যেন ডাকে!
শ্রবণা সেনগুপ্ত।

বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম, আর পর্দায় পাওলি ‘দাম’ দুটোই হট!
সুতপা মণ্ডল। বারাসাত

মূলস্রোতে ফিরতে রাজ্যে মাওবাদীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান এখন: হিংসার পথ ছাড়ো, অশান্তি সংহারো, নবারুণ রঙে রাঙো... জাগরে ‘জাগরী’ জাগ, জাগ নবমন্ত্রে, প্রভাত সূর্যের গম্ভীর মন্ত্রে...!
আশামঞ্জরী।

সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০১১-র কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ক্যাচলাইন ছিল: সিনে’মা-মাটি-মানুষ!
ভাস্কর রায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড
লক্ষ্মণ শেঠ, মানে তল্লাটে থ্রেট।
তার ভুল মেডিকেল সব পরীক্ষা ফেল,
তবু চলছিল বেশ, এত দিনে শেষ।
ডাক্তার হবে ভেবে এসেছিল যারা ভেবেছিলে,
কী দাঁড়াবে তাদের চেহারা?
ঘুঁটের মালায় তাই হোক মাথা হেঁট, লক্ষ্মণ শেঠ
জয়শ্রী কর্মকার
তখন সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছি। প্রথমে চিন্তা ছিল হস্টেলে থাকব, কে জানে কী রকম রুমমেট হবে। দিনরাত একসঙ্গে ওঠাবসা। না বনলে খুবই মুশকিল হবে!
মুশকিল হয়নি। বড় সুন্দর, স্নিগ্ধ স্বভাবের মেয়ে ছিল মৈত্রেয়ী। বেশ কিছুদিন একই রুমে আমরা দু’জন থাকলাম। তার পর মূলত আর্থিক কারণেই জুলজি অনার্স পড়া ছেড়ে দিয়ে নার্সিং ট্রেনিং-এ চলে গেল।
তখনই মৈত্রেয়ী আর সুদীপদার মন দেওয়া-নেওয়ার কথা জানতে পারি। সুদীপদা বেশ বড়লোক বাড়ির ছেলে ছিল, লেখাপড়াতেও খুবই ভাল। মৈত্রেয়ীর সঙ্গে ওর সম্পর্কের গভীরতা আমি খুব কাছ থেকে অনুভব করেছিলাম। তার পরে এটাও জানতে পেরেছিলাম, এক জন নার্সের সঙ্গে বড়লোক পাত্রের বাবা কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি হননি।
জীবনের স্রোতে ভেসে ভেসে কখন কোথায় হারিয়ে গিয়েছি। দূরে সরে গিয়েছে কলেজ-জীবন আর তার স্মৃতি। বহু বছর মৈত্রেয়ীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। হঠাৎ এক দিন একটা চিঠি পেলাম। মৈত্রেয়ী পাঠিয়েছে আমার বাপের বাড়ির ঠিকানায়। তাতে লেখা, ‘তোকে না জানালে আমার এই দীর্ঘ অপেক্ষার কাহিনি কোথায় যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যেত। জানিস, এক দিন হঠাৎ হাসপাতালে নাইট ডিউটিতে রোগীদের ওষুধ দিতে গিয়ে দেখি, হুবহু একই রকম দেখতে অথচ সুদীপদার সঙ্গে বয়সের অনেক তফাত এক রোগী। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই চোখের সামনে সমস্ত পৃথিবীটা কেমন যেন অন্ধকার হয়ে গেল। সেই মুখ, সেই গভীর দুটো চোখ। সেই সুদীপদাই। আজ সে কিডনির জটিল রোগে আক্রান্ত, অকালবৃদ্ধ। শুধুমাত্র যে নার্স হওয়ার জন্যই সুদীপদাকে হারিয়েছিলাম, আজ আবার নার্স হওয়ার সুবাদেই তাকে খুঁজে পেলাম। তুই শুধু এটুকুই প্রার্থনা করিস, যাতে আমি আমার সমস্ত সেবা, প্রেম, ভালবাসা দিয়ে ওকে যেন ভাল করে তুলতে পারি। চিঠির সঙ্গে আমাদের বিয়ের কার্ডটাও পাঠালাম। তারিখটা মনে রাখিস ২১শে শ্রাবণ, ১৪১৫।’
মায়াবতীর অঙ্ক: ইউ পি ভাগ= ভোট যোগ=বিএইচপির গুণ বৃদ্ধি=রাহুল বিয়োগ!
বিশ্বরূপ মণ্ডল, বালিগঞ্জ
ক্ষমা করিনি
১৯৯৮ সালে বিয়ে হল। প্রথম পাঁচ-ছয় বছর ইচ্ছাকৃত সন্তান কামনা করিনি আমরা। অতি উৎসাহী আত্মীয়স্বজনেরা সরাসরি বলতে থাকল, এ বারে তৃতীয় জন আসুক। এর পর যখন দু’জনেই সন্তান কামনা করছি, ডাক্তারবাবু বললেন আমার থাইরয়েডের অসুখ অন্তরায় হচ্ছে। ততদিনে আপন ছোট জা সন্তানসম্ভবা এবং এক তুতো জা মা হয়ে গিয়েছে। আমি রাতে বালিশ ভেজাচ্ছি কান্নায়। বুঝে গিয়েছি মানুষ আমাকে বাঁজা ভেবে নিয়েছে। কয়েক দিন পর সেই তুতো জা-এর ছেলের অন্নপ্রাশন। গেছি এবং ছোট্ট বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদরের ছলে মাতৃত্ব অনুভব করছি। হঠাৎই আমার সেই তুতো জা কোনও কথা না বলে ছোঁ মেরে আমার কোল থেকে শিশুটিকে কেড়ে নিল। আজ আমি একটি সুস্থসবল শিশুকন্যার মা। কিন্তু মন থেকে কোনও দিন সেই লাঞ্ছনার কথা ভুলতে পারব না ও সম্পর্ক বজায় থাকলেও সেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মহিলাকে ক্ষমা করতে পারব না।
চৈতালী বিশ্বাস, কলকাতা-২৮

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

নিজের বা আশেপাশের মানুষের জীবন
থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ভালবাসার বাস্তব
কাহিনি আমাদের পাঠান, যে কাহিনি এই
কঠিন সময়েও ভরসা জোগাতে পারে।

২৫০ শব্দের মধ্যে লিখুন।
চিঠি পাঠান এই ঠিকানায়:
যদিদং, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.