রাতে থানা ঘেরাও কংগ্রেসের
বহরমপুরে ফের কংগ্রেস-তৃণমূল হাতাহাতি
জোটসঙ্গী তৃণমূল ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুর কলেজ চত্বরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
দু-পক্ষই লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। ওই ঘটনায় ছাত্র পরিষদের ৩ জন ও তৃণমূলের ৫ জন জখম হয়েছেন বলে দু-পক্ষের দাবি। তার মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় জয়ন্ত কর্মকার নামে এক জনকে নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পরে অবশ্য ছাত্রপরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ একে-অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছে। ওই ঘটনায় দু-পক্ষই বেশ কয়েক জনের নামে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
ছাত্রদের তাণ্ডব বহরমপুর কলেজের সামনে।
রাতে পুলিশ ছাত্র পরিষদের দুই সমর্থক চন্দন দাস এবং জহিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। আর এর পরেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ওই ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের ‘নিঃশর্ত মুক্তি’ দিতে হবে।
বহরমপুর থানার আইসি প্রমোদরঞ্জন বর্মণ বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে।” কলেজ অধ্যক্ষ সমরেশ মণ্ডল অবশ্য বলেন, “কলেজের বাইরের ঘটনা সম্পর্কে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে কলেজের মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ। ছাত্র পরিষদের বহরমপুর ব্লক সভাপতি সরফরাজ শেখ রুবেল বলেন, “মোটরবাইকে চড়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পথ আটকে আমাকে রড দিয়ে পেটায়। এর পরেই আমাদের ছাত্র-সমর্থকরা মিছিল করে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে। সেই মিছিলে চড়াও হয় তৃণমূল। বাধ্য হয়েই আমরা প্রতিরোধ করি।”
রাতে ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের থানা ঘেরাও।
ওই ঘটনায় ছাত্রপরিষদের তরফে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ পাল ও অন্য দু জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। পাল্টা জবাবে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের সভাপতি পার্থ পাল বলেন, “এ দিন ওরাই লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ছাত্র-সমর্থকদের উপরে চড়াও হয়েছিল। ওদের লাঠির আঘাতে বহরমপুর কলেজের জিএস-সহ তৃণমূল ছাত্রপরিষদের ৫ জন গুরুতর জখম হন।”
ছাত্র সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের তরফে বহরমপুর কলেজের গেটের সামনে প্রতি দিনই পুলিশ প্রহরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ দিনও কলেজ গেটের সামনে পুলিশ কর্মী ছিল। তাদের সামনেই দু-পক্ষ মারপিট করে। পরে বহরমপুর থানা থেকে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী মৌসুমী বেগম কলেজে আসেন। মৌসুমীদেবীর কথায়, “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আইসি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে কলেজ চালাতে দেব না।” বৃহস্পতিবার বহরমপুর কলেজ পরিচালন সমিতির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রতিনিধিদের নির্বাচন ছিল। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বাম বিরোধী বলে পরিচিত।
ছবিগুলি তুলেছেন গৌতম প্রামাণিক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.