ডাকঘর |
পরিবর্তিত হাপু |
মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীন লোকগানগুলির মধ্যে হাপু গান অন্যতম। ওই লোকগান বর্তমানে অবলুপ্তির পথে। যাঁরা হাপু গেয়ে থাকেন তাঁদের পূর্ব পুরুষদের আদি বাসভূমি ছিল দামোদর ও অজয়-সহ বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকায়। জমি, জঙ্গল ও জলাধারের অধিকার থেকে উৎখাত হওয়ার বেদনা থেকে হাপু গানের সৃষ্টি বলে অনেকে মনে করেন। এলাকা ভেদে ওই গানের নাম ‘হাপু’, ‘হাবু’ কিংবা ‘হাফু’। ওই শব্দত্রয়ী নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও ‘হাপু’ শব্দটিই যর্থাথ বলে মনে হয়। ‘হাপু’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় ‘হা’ ও ‘পু’। ‘হা’ অর্থাৎ হা-অন্ন, বা হাহাকার ও ‘পু’ শব্দের অর্থ পূরণ। অর্থাৎ প্রাকৃতিক সম্পদচূত্য মানুষ গান গেয়ে তাঁরা নিজেদের হাহাকার (কষ্ট) পূরণ (নিবৃত্ত) করত। অর্থাৎ হৃতসর্বস্বের হাহাকারই হাপু। মুখে শব্দ-সহ পিঠে লাঠির আঘাত করে ওই গান গাওয়ার রীতি। হাপু গানেও লেগেছে পরিবর্তনের র্স্পশ। আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতিফলনও মিলছে বর্তমান সময়ের হাপু গানে। দেশ, সমাজ ও ব্যক্তির সংকট ও অবক্ষয়ের বিভিন্ন দিকও উঠে এসেছে হাপু গানে। আগে ওই গান গাওয়ার সময় একটি লাঠি বাবহার করা হলেও বর্তমানে অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে ওই লোকগানেও এসেছে বৈচিত্র। এখন হাপু গান গাওয়ার সময় লাঠি ছাড়াও থাকছে ঢোল। |
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি
|
বহরমপুরের সমস্যা |
বহরমপুর শহরের যানজট নিয়ে এই চিঠি। শহরটি দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে বৃদ্ধির সঙ্গে উচ্চতাতেও বাড়ছে। ফলে এখন থেকে বিশেষ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বাড়বে। যান নিয়ন্ত্রেণের জন্য এক দিকের গাড়ি থামানোর জন্য পুলিশকে হাত দেখাতে হয়। তখন নির্দিষ্ট দূরত্বে না থামিয়ে গাড়ি চলে আসে ট্রাফিক পুলিশের গায়ের পাশে। ফলে ওই সর্ংকীণ পথ দিয়ে অন্য দিকের গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। ফলে যানজট কমার বদলে বেড়ে যায়। এ কারণে বহরমপুর শহরের রাস্তার মোড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে জেব্রাক্রসিং দাগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে জেব্রাক্রসিং-এর আগে যানবাহন থামানোর ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হোক। দোকানের বাইরে পণ্য সামগ্রী রাখার ফলে পথচারীদের রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হয়। তার ফলে দুর্ঘটনা ও যানজট দুটোই বাড়ছে। যানজট কমাতে বাইরে পণ্য বেরিয়ে থাকা দোকানের মালিকের জরিমানা করা হোক। |
প্রদীপকুমার পাল চৌধুরী, বহরমপুর
|
শ্মশানে ভোগান্তি |
দিন কয়েক আগে এক বন্ধুর মা পরলোক গমন করেন। তাঁর মরদেহ সৎকার করতে নবদ্বীপ শ্মশানে গিয়েছিলাম। ওই দিন শ্মশানের অব্যবস্থার বিভিন্ন দিক প্রত্যক্ষ করি। ওই শ্মশানে বৈদ্যুতক চুল্লি রয়েছে মাত্র একটি। ফলে অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করা থেকে রেহাই পেতে কিছু মৃতদেহ কাঠের আগুনে পোড়ানো হয়। তার ফলে দুষণ বাড়ছে। ওই সমস্যার সমাধানে বৈদ্যুতিক চুল্লির সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। শ্মশান এলাকার গঙ্গার পাড় খুবই অপরিষ্কার। গঙ্গার পাড় নিয়মিত পরিষ্কার করা হোক। ভাল জায়গার অভাবে শ্মশানযাত্রীদের নোংরার মধ্যে বসতে হয়। শ্মাশান চত্বরে থাকা নারকেল, বট, ও বকুল গাছের গোড়াগুলি বাঁধিয়ে দিলে শ্মশানযাত্রীদের বসার জায়গার অভাব মেটে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব মেটাতে বসানো হোক নলকূপ। |
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া |
|