এক কথায় সঙ্কটে বাংলা। একে তো দুই ম্যাচে জুটেছে চার পয়েন্ট, তার উপর অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিকে হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ওয়ান ডে সিরিজে প্রথম তিনটি ম্যাচে দলে আছেন মনোজ। সে জন্য ২৯ নভেম্বর থেকে রোহতাকে অনুষ্ঠেয় ম্যাচে তো বটেই, ইডেনে ৬ ডিসেম্বরের তামিলনাড়ু ম্যাচেও মনোজকে পাওয়া যাবে না। স্বভাবতই মনোজ না থাকায় সহ অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহারই অধিনায়ক হওয়ার কথা। এর আগে জাতীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে মনোজের অনুপস্থিতিতে বাংলার অধিনায়কত্ব করেছেন ঋদ্ধিমান। যদিও অতীতে তিনি বাংলার অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। সিএবি কর্তারা জানাচ্ছেন, ঋদ্ধিই অধিনায়ক হতে চলেছেন। সরকারি ভাবে ঘোষণা অবশ্য শুক্রবার রাতেও হয়নি। কিন্তু মনোজের বদলি হিসেবে কে যাবেন? মূলত চারটি নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অরিন্দম ঘোষ, শুভময় দাস, অনুষ্টুপ মজুমদার ও পার্থসারথি ভট্টাচার্য। এঁদের মধ্যে পার্থসারথি ভট্টাচার্য ও অরিন্দম ঘোষ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ। মনে করা হচ্ছে, শুভময় দাস বা অনুষ্টুপ মজুমদারের অভিজ্ঞতা রোহতাকে টিমের কাজে লাগবে। নির্বাচকেরা বদলির খোঁজ করলে কী হবে, যুগ্ম সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় রাতে বদলি ক্রিকেটার নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না। বরং রাতে বললেন, “মনোজের কোনও বদলি হয় না।” বাংলা কাল রবিবার সন্ধের বিমানে রওনা হচ্ছে।
|
সত্তর দশকের বাংলার নামী গোলকিপার সন্তোষ বসু আকস্মিক ভাবে চলে গেলেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানে খেলা এই নামী কিপারের বয়স হয়েছিল ৫৭। জ্বর নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। ক্রমশ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় শুক্রবার তাঁকে তাঁর বাড়ির লোকেরা বন্ড দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অন্য হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরোনোর মুখে গাড়িতেই সন্তোষের মৃত্যু হয়। সন্তোষের প্রয়াণের খবর আসা মাত্র ময়দানে শোক নেমে আসে। সুব্রত ভট্টাচার্য স্মৃতিচারণ করছিলেন, “ছিয়াত্তরে মোহনবাগানে চারটি ট্রফি জয়ের সময় প্রথম দলে ছিল ও। ভাবতে পারছি না, সন্তোষ নেই।” মিহির বসু সাতাত্তরে ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন সন্তোষের সঙ্গে। তাঁর প্রাক্তন রুমমেটের জন্য কাতর। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় একই সঙ্গে চাকরি করতেন সন্তোষের সঙ্গে। তিনিও ভেবে পাচ্ছেন না, সন্তোষ নেই। ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল ও বাংলায় খেলেছেন সন্তোষের সঙ্গে। বিস্মিত ভাস্কর বলছিলেন, “ভাল মানুষ। বিনয়ী। লম্বা বলে দারুণ খেলত। ক’দিন আগেও আড্ডা মেরেছি। বিশ্বাস হচ্ছে না।”
|
মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ম্যাচ চলাকালীন যুবভারতী স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের ঘটনায় তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়েছে তাঁদের। গত রবিবার যুবভারতীতে ওই ম্যাচের মাঝখানেই হঠাৎ মাঠের সব আলো নিভে যায়। প্রায় ১৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বিরুদ্ধে। জাতীয় স্তরে এই নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়। ওই ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ভিত্তিতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। ওই তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সল্টলেকের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব সরকার, ডিভিশনাল ম্যানেজার অরিন্দম নিয়োগী এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জিত মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন জনকেই আগামী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্টে ওই তিন ইঞ্জিনিয়ারকেই দায়ী করা হয়েছে।
|
সুনীল ছেত্রী ও জেজে শেষ পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের সেরা ক্লাব গ্লাসগো রেঞ্জার্সে চলে গেলেন ট্রায়াল দিতে। মোহনবাগান কর্তারা সুনীলকে ছেড়ে দিলেন একটা শর্তেই। ট্রায়ালে মনোনীত হলেও তাঁকে ছাড়া হবে না। এর পরেও ট্রায়ালে ছাড়া হল, সুনীলকে একটা বাড়তি সুযোগ দিতে। জেজে-সুনীলকে ছেড়ে দিতে আপত্তি করেননি জাতীয় দলের কোচ স্যাভিও মিদেইরা-ও। জাম্বিয়ার বিরুদ্ধে দেশের দুই সেরা স্ট্রাইকার খেলছেন না। তবে সাফ কাপ শুরুর আগে তাঁরা ফিরে আসবেন।
|
সর্বভারতীয় পুলিশ ক্রীড়া এ বার বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নয়া বছরের ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিযোগিতা চলবে। ১৭ বছর পর জাতীয় স্তরের পুলিশ ক্রীড়া বিহারে হচ্ছে বলে রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দ জানান। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা বিহারে হওয়ায় আমরা গর্বিত। এর জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্বে থাকবেন ডিজিপি, এডিজি, আইজি এবং ডিআইজি পদের পুলিশ অফিসাররা। ডিজিপি বলেন, “আমাদের ধারণা সারা দেশ থেকে ২০০০ জন এতে অংশ নেবেন।” |