হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখতে গিয়ে বাগানের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দুই বনকর্মী। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা ডায়না রেঞ্জের ওই বিট অফিসার ও অপর কর্মীকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে থাকেন বাসিন্দারা। বন কর্তাদের সঙ্গে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বসা হবে বলে আশ্বাস দিলে শান্ত হন তাঁরা। বনাঞ্চলের রেঞ্জ অফিসার সুজিত দাস বলেন, “বাগান কর্তৃপক্ষ ফাঁকা জমিতে ভুট্টা, মারুয়া সহ কয়েকটি ফসল চাষ করায় নিয়মিত বাগানে হাতি হানা দিচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, চা বাগানে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই। তবুও বিট অফিসার ও এক কর্মীকে ঘেরাও করেন। সোমবার এ বিষয়ে বৈঠক করব।” চা বাগান সূত্রের খবর, ডুয়ার্সের লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে গত ১ মাস ধরে নিয়মিত ডায়না জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ৩৫টি হাতির দল বাগানের শ্রমিক বস্তিতে হানা দিচ্ছে। ১৫টি শ্রমিক আবাস হাতি তছনছ করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ২৩ টি হাতি বাগানের বড়া লাইনে ঢুকে চাল, নুন, হাড়িয়ার লোভে একের পর এক বাড়ি লন্ডভন্ড শুরু করে। আসবাব ভেঙে তছনছ করে দেয়। রাতে বিন্নাগুড়ি এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি তাড়িয়ে দেয়। ঘন ঘন হাতির হানা ও ক্ষতিপূরণ না মেলায় সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। সকাল ৭ টা নাগাদ ডায়না রেঞ্জের বিট অফিসার ক্ষতির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করতে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনরা। বাসিন্দা ভিক্টর বার্লা বলেন, “হাতি রাতের ঘুম কেড়েছে। সব ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে। বন দফতর সাহায্য করছে না, এটা মানা যায় না।”
|
জোত জমির কাঠ কেটে পাঠানোর সময়ে নথিপত্র পরীক্ষার জন্য আটক করে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এক বিট অফিসার। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ির বটেশ্বর এলাকায় সার্ক রোডে। শতাধিক কাঠ ব্যবসায়ী তাঁকে প্রায় চার ঘন্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বনকর্তারা পৌছে আগামী সোমবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলে বেলা ১টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে। জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও কল্যাণ দাস বলেন, “জোত জমির কাঠ ট্রানজিট পাস (টিপি) ছাড়া বাইরে নিয়ে যাওয়া অপরাধ। এ দিন সকালে ভ্যান রিকশা বোঝাই কাঠ আটক করা হলে পাচারকারীরা বিট অফিসার শ্যামল ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। আমরা বলেছি টিপি বার করার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আটক কাঠ ছেড়ে দেওয়া হবে না।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্ক রোডে টিপি ছাড়া কাঠ পাচারের ঘটনা শুক্রবারই প্রথম নয়। প্রতিদিন ময়নাগুড়ির নানা জোতের কাঠ এ ভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় পাচার হচ্ছে। ওই অপরাধ ঠেকাতে সম্প্রতি সার্ক রোডে নজরদারি বাড়ানো হয়। ডিএফও বলেন, “বিক্ষোভকারীরা টিপি দেওয়ার পদ্ধতি সরল করার দাবি তুলেছেন।” |