খেলা
জুডো অ্যাকাডেমি
লিম্পিকে খেলা হয়। দেশেও চর্চা হয়। হাওড়ায় সাফল্যও এসেছে। কিন্তু এ রাজ্য জুডো চর্চায় পিছিয়ে রয়েছে। আশার কথা এর মধ্যে হাওড়ায় গড়ে উঠেছে জুডো অ্যাকাডেমি। উঠে আসছে নতুন ছেলেমেয়ে।
টিকিয়াপাড়ার কাছে রথতলায় নটবর পাল রোডে রয়েছে এই সাধন বিদ্যা জুডো অ্যাকাডেমি। জুডোর অ-আ-ক-খ থেকে রাজ্য ও জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য এখানে অনুশীলন চলে। ভারতে জুডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জন্ম ১৯৬৬-তে। ১৯৭২-এ কলকাতায় তৈরি হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডো অ্যাসোসিয়েশন। ১৯৮২-এ হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট জুডো অ্যাসোসিয়েশনের পথ চলা শুরু হয়। অন্যতম উদ্যোগী ছিলেন দীপকুমার সাহা। জুডোর ষষ্ঠ ডান ব্ল্যাক বেল্ট, জাতীয় কোচ এবং আন্তর্জাতিক বিচারক দীপকুমারবাবু বললেন, “ব্যাঁটরা মধুসূদন পাল চৌধুরী স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক যাদব দত্তরায়ের আগ্রহে ৭০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্কুল চত্বরেই শুরু করি জুডোর ক্লাস।”
১৯৮৩ থেকে শুরু হয় জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ। কয়েক জন জুডো শিখে চাকরিও পেয়েছেন। শুধু হাওড়া শহরেই নয়, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগদীশপুর, পাতিহাল, আন্দুল, কোনাতেও জেলা সংস্থার অধীনে চলছে জুডো চর্চা। রাজ্য জুডোতে সিংহভাগ সাফল্যই পায় হাওড়া। “রাজ্য জুড়ে জুডো আরও ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৭-এ গড়ে তুলি অ্যাকাডেমি। দরকার সরকারি সহযোগিতার”, বললেন জেলা সম্পাদক দীপকুমার সাহা। তাঁর সঙ্গে অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন শিবব্রত দে, প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় ও প্রিয়রঞ্জন সেনগুপ্ত। ব্ল্যাক বেল্ট শিবব্রতবাবু বললেন, “ব্যক্তিগত উদ্যোগে অ্যাকাডেমি তৈরি হয়েছে। জুডো ফেডারেশনের টেকনিক্যাল চেয়ারম্যান মনোহরনারায়ণ বাঙ্গেরা অ্যাকাডেমি দেখে প্রশংসা করে গিয়েছেন। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর জাপান উৎসবে আমাদের জুডো প্রদর্শন প্রশংসা পেয়েছে।” পরিকাঠামো আর পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবেই জাতীয় স্তরে মেডেল জয়ী দেবস্মিতা দাস মাস চারেক আগে এ রাজ্য ছেড়ে মধ্যপ্রদেশে চলে গিয়েছে। আন্দুলের একাদশ শ্রেণির এই ছাত্রীটি ভোপাল থেকে ফোনে বলে, “বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। ভাল ভাবে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না। এখানে সরকারি উদ্যোগে তাঁতিয়া টোপি স্টেডিয়ামে অনুশীলন, খাওয়া-দাওয়া, চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছি। জানুয়ারি মাসে কলকাতার সিনিয়র জাতীয় জুডোতে আমি মধ্যপ্রদেশের হয়েই খেলব।” অ্যাকাডেমির আর এক কোচ ব্ল্যাক বেল্ট প্রিয়রঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবেই জাতীয় প্রতিযোগিতায় হরিয়ানা, পঞ্জাবের কাছে পিছিয়ে পড়ছে বাংলা। অনুশীলন করার ভাল ম্যাটও নেই।”

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.