মিশরের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন কামাল গানজাউরি। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে সোমবার ইস্তফা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই অশান্ত পরিস্থিতিতে ২৮ নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ফিল্ড মার্শাল হুসেন তানতাওয়াই দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে গানজাউরিকে নিযুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন। গানজাউরিও প্রাথমিক ভাবে ‘জাতীয় মুক্তি সরকার’-এর দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদীরা এ কথা মেনে নিতে রাজি নন।
|
শুক্রবার তাহরির স্কোয়ারে বিক্ষোভ মিশরীয় জনতার। ছবি: এ এফ পি। |
গানজাউরির প্রধানমন্ত্রিত্ব নিয়ে তাহরির স্কোয়্যারে ভিড় জমানো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। মহা আবদুল্লা নামে এক ছাত্র জানান, এই অশান্ত পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের রাশ শক্ত হাতে ধরতে এক জন অল্পবয়সী নেতার দরকার ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষমতা ৭০ বছর বয়সী গানজাউরির নেই বলে তাঁর মত। আবার গানজাউরিকে প্রধানমন্ত্রী করা নিয়ে দৃশ্যতই খুশি মেতওয়ালি আট্টা নামে এক ট্যাক্সিচালক। তিনি জানালেন, আগের প্রধানমন্ত্রী এসাম শরাফের মতো গানজাউরি সেনাবাহিনীর আজ্ঞাধীন থাকবেন না বলেই মনে করছেন তিনি। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ৪১ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর জন্য আজ ফের ক্ষমা চেয়েছে মিশরীয় সেনা। তবে সেনার ক্ষমতা খর্ব না হওয়া এবং তানতাওয়াই পদত্যাগ না করায় দেশের অধিকাংশ মানুষই যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। তাঁরা ফের তাহরির স্কোয়্যারে লক্ষ মানুষের জমায়েতের হুমকি দিয়েছেন। ফের সেনা-জনতা সংঘর্ষের আশঙ্কায় এই জমায়েত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে কাউন্সিল। |