আলিপুরদুয়ার জেলা নিয়ে এবার জোট শরিক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জহর মজুমদার ওই অভিযোগ করেছেন। জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস নেতারা আলিপুরদুয়ার জেলা ভাগের বিরোধিতা করলেও স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা তা নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলেছেন জহরবাবু। এখানেই থেমে থাকেননি ওই তৃণমূল নেতারা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাতের অভিযোগও তিনি তুলেছেন। প্রয়োজনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারে আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। জহরবাবুর কথায়, “জলপাইগুড়িতে কংগ্রেসের জেলা নেতারা আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা ঘোষণার বিরোধিতা করলেও স্থানীয় নেতারা কিছুই বলছেন না। এমনকী, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের কোনও প্রতিবাদ করেননি। অথচ তিনি ভোটে জেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক উন্নয়নের কোনও বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করছেন না। পুর এলাকায় কোনও কাজ হচ্ছে না। আমরা এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন নামব।” তিনি জানান, আলিপুরদুয়ার পুরসভা একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি। নেই সুষ্ট নিকাশি প্রনালী, ময়লা পরিস্কারের জন্য কোনও গাড়ি নেই। কোচবিহার থেকে টাকা খরচ করে সেই গাড়ি ভাড়া করে আনতে হয়। উন্নয়ন বলতে শহরে কয়েকটি মূর্তি বসানো হয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নিবার্চনে কংগ্রসেকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি তারা আগামী নিবার্চনে একা লড়ে দেখাক। যদিও আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেসের বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “জহরবাবু কী বলতে চাইছেন তা আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানব। তার পরেই মন্তব্য করব।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক কংগ্রসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দাবি, “আলিপুরদুয়ার শহরে কি উন্নয়ন হয়েছে তা সাধারণ মানুষ জানেন। শহরের ময়লা ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তৃনমূল বিষয়টি নিয়ে আমাদের উপদেশ দিলে খুশি হব।” দীপ্তবাবু বলেন, “জেলার কংগ্রেস নেতারা জেলা ভাদের বিরোধিতা করতে পারেন। তবে আলিপুরদুয়ার মহকুমায় কংগ্রেস নেতৃত্ব পৃথক জেলা ঘোষনার দাবী নিয়ে আন্দোলন করছে। আর জোট রাজনীতির স্বাথের্র্ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ভোটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবছি না।” |