স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বাড়ির সামনের জমি দখল করে ক্লাব তৈরির অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ির নৌকাঘাট এলাকার ঘটনা। যাঁরা অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা তৃণমূলেরই সমর্থক। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই পরিবারের মহিলা বিল্ল বৈদ্য, বাসন্তী বৈদ্যরা অভিযোগ করেন, এলাকায় ১০ কাঠা জমির একাংশে তাঁদের বাড়ি এবং চাষের জায়গা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গার দখলসত্ত্ব ভোগ করে আসছেন তাঁরা । কৌশিক দত্ত, টোটন দে-সহ স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা বাড়ির জমির সামনের অংশ দখল করে ক্লাব তৈরি করতে চাইছে। এর আগে তারা সেখানে কমিউনিটি হল এবং অনুষ্ঠান ভবন তৈরির কথা বলে জায়গা চেয়েছিল। তাতে আপত্তি জানানোয় এখন বাসিন্দাদের একাংশকে সামিল করে ওই ক্লাব তৈরির চেষ্টা চলছে। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও গত সোমবার থেকে ক্লাব তৈরি করতে দেওয়াল গাঁথার কাজ শুরু করা হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের তরফে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিল্ল দেবীর পুত্রবধূ গীতাদেবীর অভিযোগ, কৌশিকবাবুরা এক সময় বাম দলে ছিলেন। তখনও তাঁরা দলীয় ঝান্ডা পুঁতে আমাদের জায়গা দখল করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের স্থানীয় সমর্থকদের একাংশকে সামিল করে এখন ফের জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছেন। অভিযুক্ত কৌশিক দত্ত অবশ্য বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই জমিতে যে ক্লাব হচ্ছে তার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। তা ছাড়া ওই জমিতে পুর কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান ভবন, কমিউনিটি হল করতে চেয়েছিল বলে শুনেছিলাম।” একই কথা জানিয়েছেন টোটনবাবুও। তিনি জানান, ওই জায়গা চরের। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই সই সংগ্রহ করে সেখানে কমিউনিটি হলের দাবি করেছিলেন। পুর নির্বাচনে ওই ৩১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে যায়। দলেরই একাংশের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে পদ থেকে ইস্তফা দেন কাউন্সিলর চৈতালী সেন শর্মা। সেই থেকে বছরখানেকের উপর ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নেই। পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সুপারভাইজার সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, “ওই জায়গা ফাঁকা থাকায় পুরসভার তরফে মাস ছয়েক আগে সেখানে কমিউনিটি হল করার প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়। পুরসভার জায়গা বলে বোর্ড লাগাতে গেলে ওই পরিবারের লোকেরা বাধা দিয়েছিল। সে সময় পুলিশে পুরসভার তরফে অভিযোগও জানানো হয়। পরে কমিউনিটি হলের বিষয়টি এগোয়নি।” |