জেলায় মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া ১১ জন সাধারণ নাগরিকের বাড়ির লোকেরা ক্ষতিপূরণ পেলেন। মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরে জেলা সমাজকল্যাণ দফতরে প্রশাসনের তরফে নিয়ে আসা হয়েছিল বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, আড়শা ও বান্দোয়ান এলাকায় মাওবাদী হামলায় নিহত ১১ জনের বাড়ির লোকেদের।
প্রশাসন সূত্রের খবর, পুলিশকর্মীরা কর্তব্যরত অবস্থায় মাওবাদী হামলার শিকার হলে তাঁদের পরিজনেদের জন্য বিশেষ আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছিলই। |
পুরুলিয়ায় মাওবাদী হানায় নিহতদের মধ্যে ১১ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
দিল প্রশাসন। মঙ্গলবার জেলাশাসকের দফতরে সুজিত মাহাতোর তোলা ছবি। |
দু’বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে, এ বার থেকে মাওবাদী-হানায় নিহত সাধারণ নাগরিকের নিকটাত্মীয়েরাও এককালীন ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন। পুরুলিয়া শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নিহতদের পরিবারের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে ক্ষতিপূরণের চেক জমা দিয়েছে প্রশাসন।
কেন্দ্রের ৩ লক্ষের পাশাপাশি পূর্বতন বাম সরকার আরও ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সেই টাকা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরেও মাওবাদী হানায় নিহত ৯ জনের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। এ দিন অবশ্য কেন্দ্রের তরফের ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১১টি অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকারের তরফে ১ লক্ষ টাকা করে জেলা প্রশাসন কাছে এলেও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় সেই অর্থ এ দিন দেওয়া যায়নি।
|
সারেঙ্গায় ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
রাস্তার পাশে থাকা একটি সরকারি নলকূপ ভেঙে যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টা করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন, উমাকান্ত কর্মকার ও পটু দুলে। উমাকান্তের বাড়ি সারেঙ্গা থানার আমঝোড় গ্রামে। ওই থানারই গোবিন্দপুরে পটুর বাড়ি। পুলিশের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় আমঝোড় গ্রামের রাস্তার পাশে একটি নলকূপ ভেঙে যন্ত্রাংশ চুরির চেষ্টা করেছিলেন ওই দুই যুবক। সেই সময় গ্রামবাসীদের নজরে আসে। তাঁদের সাহায্য নিয়ে পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে। |