তৃণমূল এবং কংগ্রেসের একাংশের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে হেরে গেলেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর বিথারি হাকিমপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। মঙ্গলবার দুপুরে ভোটে ১১-০ ব্যবধানে পরাজিত হন প্রধান স্বপ্না পাল। তবে এ দিন পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না স্বপ্নাদেবী। হাজির ছিলেন সিপিএমের ৫ এবং কংগ্রেসের ৩ সদস্য। অনাস্থার পক্ষে থাকা সদস্যদের অভিযোগ, প্রধান ঠিকমতো কাজ না করায় সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বার বার বলা সত্ত্বেও প্রধান এ ব্যাপারে সতর্ক না হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে হয়। প্রসঙ্গত, স্বপ্নাদেবীকে নিয়ে তৃণমূলের দু’জন প্রধান পদ থেকে অপসারিত হলেন।
স্বপ্নাদেবী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমার আগের প্রধান আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে সরিয়ে আমাকে প্রধান পদে বসানো হয়। আমাকে দিয়ে অন্যায় কাজ করাতে না পেরেই অযৌক্তিক ভাবে অনাস্থা এনে আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিথারি হাকিমপুর পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ২০। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট করে লড়াই করে বামপ্রার্থীদের হারিয়ে পঞ্চয়েত দখল করে। কংগ্রেস ৮, তৃণমূল ৭ এবং সিপিএম ৫টি আসন পেয়েছিল। জোটের পক্ষে প্রধান হন তৃণমূলের মণীন্দ্রনাথ দাস। উপপ্রধান হন কংগ্রেসের আনিসুদ্দিন গাজি। পঞ্চায়েতের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তদন্তে নামেন বিডিও। সেই সময় প্রধান ও উপপ্রধান কয়েক মাস এলাকা ছাড়া ছিলেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের কাজ সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য ২০০৯ সালের অক্টোবরে নতুন প্রধান হন স্বপ্না পাল।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই প্রধানের সঙ্গে অন্য সদস্যদের নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে জোটের ১১ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। |