উল্লোন সীতানাথ আদর্শ বিদ্যাপীঠ |
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭১।
ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা- ৪৫০ জন।
স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা- ১১ জন
পার্শ্বশিক্ষক- ১ জন।
শিক্ষাকর্মী-২ জন। ২০১১ সালে মাধ্যমিকে
পরীক্ষার্থী ছিলেন ৫৫ জন। উত্তীর্ণ ৪৬ জন। |
|
|
আদর্শ বিদ্যালয় রূপে
গড়ে তোলাই লক্ষ্য
শ্রাবণী রায়
প্রধান শিক্ষিকা
|
|
শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীরা পরিকাঠামোগত যে সব সুযোগসুবিধা পেয়ে তাকে তার অনেক কিছুই আমাদের এই স্কুলে অনুপস্থিত। ১৯৭১ সালে মন্দিরবাজারের প্রত্যন্ত এই গ্রামে প্রয়াত ঋষিময় পুরকাইত এবং নিরঞ্জন দাস মহাশয়ের অক্লান্ত চেষ্টায় তিলে তিলে গড়ে উঠেছিল এই বিদ্যালয়। সময় এগেনোর সঙ্গে সঙ্গে বহু মহাপ্রাণ মানুষের দানে সমৃদ্ধ হয়েছে বিদ্যালয়। স্কুলের যারা পড়তে আসে তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে এবং তপসিলি সম্প্রদায়ের। বছরখানেক আগে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগ দিই। এতদিনে স্কুলের যতটা উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তা সে ভাবে হয়নি। তা ছাড়া সরকারি আর্থিক অনুদানের অভাবে স্কুলের পরিকাঠামোর তেমন উন্নতি ঘটানো যায়নি। |
যেমন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে এখানে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। কিছুদিন আগে নতুন একটি লাইব্রেরি উদ্বোধন হলেও সেখানে আরও পাঠ্যবই-সব অন্যান্য বইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। জায়গার অভাবে শ্রেণিকক্ষ বাড়ানো যাচ্ছে না। অথচ ছাত্রছাত্রীদের জন্য তা অত্যন্ত জরুরি। ২০০৯ সালে আয়লার সময় স্কুলের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার আর সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নেই কোনও অডিটোরিয়াম। সমস্যা রয়েছে পানীয় ও শৌচাগরের। খেলার মাঠ না থাকায় খেলোধুলার সুযোগ সে ভাবে বাড়েনি। তবে এত সব সমস্যার মধ্যেও বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একে আদর্শ বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য। |
আমার চোখে |
শ্রাবণী মণ্ডল
ক্লাস টেনের প্রথম স্থানাধিকারী |
|
পাঁচ বছর আগে যখন প্রথম যে দিন এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসেছিলাম তখন নতুন পরিবেশে কেমন যেন অসহায় লাগছিল। চারপাশে সব বড় বড় দাদা-দিদিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যত দিন যেতে লাগল অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশতে মিশতে সেই অসহায়বোধটা ক্রমশ কেটে গেল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় তাঁদের প্রতি ভয়টাও কেটে গেল। যে কোনও সমস্যায় পড়লে আজও তাঁদের কাছে ছুটে যাই। তাঁরাও যতটা সম্ভব সাহায্য করেন। তবে স্কুলে কিছু কিছু সমস্যা আমাদের কষ্ট দেয়। যেমন, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার তুলনায় ক্লাস ঘর কম থাকায় গাদাগাদি করে বসতে হয়। কোনও শৌচাগার নেই। এতজন ছাত্রছাত্রীর তুলনায় একটি মাত্র পানীয় জলের নলকূপ থাকায় সমস্যা হয়। কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। খেলার মাঠ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা সে ভাবে খেলাধুলা করতে পারি না। তবে নানা সমস্যা থাকলেও যখন ভাবি এক দিন এই স্কুল ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে তখন মনে কষ্ট অনুভব করি। |