ভাটোরা ইউনিয়ন হাইস্কুল |
ছাত্রছাত্রী: ১৫১৫ জন
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ৩২ জন
পার্শ্ব শিক্ষক: ৪ জন
শিক্ষাকর্মী: ৫ জন
২০১১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী: ১৩০ জন। উত্তীর্ণ ১২৮ জন।
২০১১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী: ৬৩ জন। উর্ত্তীণ ৬০ জন। |
|
|
স্কুলের খেলার মাঠের
রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি
আশিসকুমার চট্টোপাধ্যায়
প্রধান শিক্ষক
|
|
১৯৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর জেলার সংযোগস্থলে জলবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চলে ভাটোরা, ঘোড়াবেড়িয়া এবং চিৎনান গ্রামের সম্পন্ন বাসিন্দাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে ভাটোরা ইউনিয়ন হাইস্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাতে বাড়ে সেই প্রচেষ্টা নিরন্তর করা হয়ে থাকে। এর পুরো কৃতিত্ব আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে তাঁরা যাতে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে আলাদা করে দেখেন সে কথাই তাঁদের বলা হয়েছে। সেই চেষ্টা তাঁরা যে করে থাকেন তা বলাই বাহুল্য। পড়াশোনা ছাড়াও খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে। ১৯৫০ সালে স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে। ১৯৫২ সালে স্কুল চলে আসে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনে। ১৯৮৪ সাল থেকে শুরু হয় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পঠন। তবে সমস্যা কিছু রয়েছে। |
এত দিনের পুরনো স্কুল। কিন্তু চারিদিকে কোনও সীমানা প্রাচীর নেই। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ও তাদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধা হয়। খেলার মাঠটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। ছাত্রছাত্রীদের জন্য কমনরুম এবং এন সি সি চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ এবং বেঞ্চি প্রয়োজন। স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা দরকার। গ্রন্থাগারের সংস্কার এবং বিষয়ভিত্তিক পৃথক রাসায়নিক পরীক্ষাগার প্রয়োজন। ২০০৫ সাল থেকে স্কুলের পরিচালন সমিতি ছিল না। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিলেন না প্রধান শিক্ষক। ফলে কিছুটা অসুবিধা ছিল। তবে চলতি বছরের জুলাই মাসে নতুন পরিচালন সমিতি গঠিত হয়েছে। সমিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্কুলের উন্নতিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসী এবং অভিভাবকেরা। |
আমার চোখে |
মাসুমা খাতুন
দশম শ্রেণিতে প্রথম স্থানাধিকারী |
|
আমাদের এলাকাটি বন্যাপ্রবণ। রূপনারায়ণ এবং মুণ্ডেশ্বরী নদী দিয়ে ঘেরা এই এলাকাটি হাওড়া জেলার ‘দ্বীপাঞ্চল’ নামে পরিচিত। বর্ষায় খুবই অসুবিধা। এই সব প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের বড় হওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে হয়। এই স্কুল আমার কাছে অতি পবিত্র উপাসনাকেন্দ্রের মতো। স্কুলের পঠন-পাঠন নিয়ে বলতে গেলে প্রথমেই আসে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা। তাঁরা সন্তানস্নেহে আমাদের দেখেন। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষিক শিক্ষিকারা আসেন। দু’তিনটি বাস এবং নৌকায় তাঁদের আসতে হয়। স্কুলে দীর্ঘদিন কোনও পরিচালন সমিতি ছিল না। ছিলেন না প্রধান শিক্ষক। তাতে স্কুলের অনেক সমস্যার হয়ত সমাধান করা যায়নি। কিন্তু পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে আমরা কোনও অসুবিধার মুখোমুখি হইনি। বলা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই অভাব আমাদের বুঝতে দেননি। |