ফের এক মানবিক মুখের খোঁজ পেল নবদ্বীপ।
দিন তিনেক ধরে ভট্টপাড়ায় নর্দমার পাশে পড়েছিলেন বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়। তবে ফিরেও তাকাননি এলাকার মানুষ। পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছেন সকলেই। মঙ্গলবার সকালে ওই প্রৌঢ়কে লক্ষ করেন বিশ্বজিৎ হালদার। তিনিই পুলিশে খবর দিয়ে ওই প্রৌঢ়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পুলিশের সাহায্যে তাঁকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়।
বিশ্বজিৎবাবু থাকেন নবদ্বীপ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। এ দিন একটা কাজ সারতে ভট্টপাড়ায় এসেছিলেন। রাস্তার পাশে ওই প্রৌঢ়কে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে ওঁকে দেখতে পেলাম। খোঁজ করে জানতে পারলাম দিন তিনেক ধরে এভাবেই অসুস্থ শরীর নিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন। আর দেরী করিনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।” তাঁকে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে তবেই অবশ্য বাড়ি ফিরেছেন বিশ্বজিতবাবু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের নাম অরুণকুমার মিশ্র। নবদ্বীপের এ রাস্তা-সে রাস্তায় প্রায়শয়ই তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। শনিবার রাতে অরুণবাবু ভট্টপাড়ার একটি নর্দমায় পড়ে যান। আহত অবস্থায় তার পর থেকেই রাস্তার পাশে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর।
নবদ্বীপের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা উত্তম সাঁতরা অবশ্য বলেন, “আমার কাছে এরকম কোনও খবর আসেনি। কাজের প্রয়োজনে আমাকে নবদ্বীপের বাইরে যেতে হচ্ছে। তবে খবর পেলে একটা কিছু ব্যবস্থা নিশ্চই করতাম। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।” |