টুকরো খবর |
বরাদ্দ খরচ করতে কড়া নির্দেশ মন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অর্থ ফেরত পাঠানো চলবে না বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। মঙ্গলবার মন্ত্রী তমলুকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার সময়ে জানতে পারেন জেলার তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের হস্টেল খরচ বাবদ ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যে টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র, তার মধ্যে ৭৭ লক্ষ টাকাই খরচ করতে না পারায় ফেরত গিয়েছে। কেন ওই টাকা খরচ করা গেল না, তা বৈঠকেই জানতে চান মন্ত্রী। চলতি আর্থিক বছরে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে কোনও ভাবেই বরাদ্দ অর্থ থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে নজর রাখতে কড়া নির্দেশ দেন মন্ত্রী। জেলা পরিষদ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তফসিলি জাতি-উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ অর্থ আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বণ্টন করা হত। |
|
জেলাশাসকের দফতরে কমিটির বৈঠক |
গত বছর নির্দেশ দেওয়া হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ওই টাকা সেখানে জমা দিতে হবে। কিন্তু উদ্যোগের অভাবে অধিকাংশ স্কুলেই সেই অ্যাকাউন্ট আর খোলা হয়নি। ফলে টাকাও বণ্টন করা যায়নি। অনগ্রসর কল্যাণমন্ত্রী উপেনবাবু সোমবার হলদিয়া সেন্ট্রাল প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মঙ্গলবার জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তমলুক হেরিটেজ কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
|
ঘরে ফিরতে বাধা কেশপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ঘরে ফিরতে গিয়ে কেশপুরে বাধার মুখে পড়লেন সিপিএমের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। পরিস্থিতি দেখে এখন তাঁরা আমড়াকুচির এক শিবিরে আছেন। ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কেশপুরের পঞ্চমীতে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকে কেশপুরের বহু সিপিএম কর্মী-সমর্থকই ঘর ছাড়া। সম্প্রতি তাঁদের অনেকে ঘরে ফিরছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ করেই সোমবার পঞ্চমীর বেশ কয়েক জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক ঘরে ফিরতে উদ্যোগী হন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক তাঁদের ঘরে ফেরাতে আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কিন্তু, সোমবার ঘর ছাড়া সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠী বেঁকে বসে। তৃণমূলের ওই অংশের বক্তব্য, সিপিএমের ওই ঘর ছাড়াদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাস চালানো লোকজনকে ফেরানো যাবে না। তৃণমূলের দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, “বিষয়টির সঙ্গে দলের যোগ নেই। পুলিশ-প্রশাসনের দেখার দায়িত্ব।” কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলই বলেন, “শুধু পঞ্চমীই নয়, ব্লকের অন্য এলাকার বহু কর্মী-সমর্থকও ঘরছাড়া। বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনে জানানো হয়েছে। অথচ, কোনও পদক্ষেপ নেই।” পুলিশ সূত্রে খবর, আলোচনার মাধ্যমেই ঘর ছাড়া মানুষজনকে ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ চলছে। কেশপুর থানার ওসি স্বরূপ বসাকের বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
|
সিপিএমের কমিটিতে খুনে অভিযুক্ত যুবনেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সিপিএমের বেলপাহাড়ি লোকাল কমিটির সম্পাদক পদ থেকে হাড়িরাম সিংহকে সরিয়ে দেওয়া হল। মঙ্গলবার বিকেলে বেলপাহাড়ির দলীয় কার্যালয়ে ওই লোকাল কমিটির সম্মেলন ছিল। ২০০৭-এর সম্মেলনে সম্পাদক হন হাড়িরামবাবু। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে দলীয় ব্যাখ্যা, ২০০৮-এ বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়ে দলের কাজে তিনি সময় দিতে পারছিলেন না। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনেই তাঁকে সরতে হল। নতুন সম্পাদক হয়েছেন প্রবীণ শিক্ষক-নেতা গুণধর মাহাতো। বেলপাহাড়ির ‘মুড়ারি এসসি হাইস্কুলে’র এই শিক্ষক পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবেই পরিচিত। পুরনো লোকাল কমিটি ছিল ১২ জনের। তার মধ্যে এক জন খুন হয়েছেন। ৩ জন এলাকার বাইরে। নতুন ১০ জনের লোকাল কমিটিতে নতুন ৪ জনকে আনা হয়েছে। নতুনদের মধ্যে অন্যতম হলেন তপন মাহাতো। বেলপাহাড়ির তৃণমূল নেতা জলদবরণ কর ও তাঁর ভাই আশিস কর খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তপনবাবু জেলে রয়েছেন। তপনবাবু ডিওয়াইএফ-এর বেলপাহাড়ি লোকাল কমিটিরও সম্পাদক। দলের কমিটিতে তাঁর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে।
|
প্রাথমিকে ক্রীড়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাথমিক পড়ুয়াদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে মঙ্গলবার উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেল শালবনির পিরাকাটায়। সদর দক্ষিণ চক্রের অন্তর্গত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হল পিরাকাটা হাইস্কুল মাঠে। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু, বিডিও অজয় বিশ্বাস, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক পূর্ণেন্দু উত্থাসিনী, তৃপ্তি পড়্যা প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ৯০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সদর দক্ষিণ চক্রে ৮৫টি প্রাথমিক স্কুল, ৭২টি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও একটি শিশু-শ্রমিক বিদ্যালয় রয়েছে। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
এ দিন সব মিলিয়ে ২৮০ জন ছাত্রছাত্রী চক্র-ক্রীড়ায় যোগ দেয়। এ দিনই এক অনুষ্ঠানে সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সদর দক্ষিণ চক্র ক্রীড়া কমিটি-র আহ্বায়ক তথা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরুণাভ প্রহরাজ বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ।”
|
লক্ষ্মণ শেঠকে গ্রেফতারের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নন্দীগ্রামে গণহত্যার অভিযোগে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে গ্রেফতারের দাবি ও হলদিয়া পুরসভার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ‘বিক্ষোভ সমাবেশের’ আয়োজন করল তৃণমূল সমর্থিত ‘হলদিয়া জাতীয়তাবাদী নির্মাণকর্মী ইউনিয়ন’। মঙ্গলবার হলদিয়ার দুর্গাচকের কলোনি-বাজারে এই সভার আয়োজন করা হয়। হাজার পাঁচেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে পদযাত্রা করে সভায় এসে হাজির হন। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের ‘ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির’ নেতা আবু তাহের, ইউনিয়নের সম্পাদক মিলন মণ্ডল, তমলুক শহর তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু রায় প্রমুখ।
সোমবারই ‘তৃণমূলের সন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে মঞ্জুশ্রী মোড়ে সভা করেছিল বামফ্রন্ট। প্রধান বক্তা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এ দিন তৃণমূলের কর্মসূচি তারই পাল্টা বলে মনে করা হচ্ছে। বামফ্রন্ট পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার বিরুদ্ধে মিলনবাবুদের অভিযোগ, “পুরসভা মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। উল্টে প্রচুর আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আগামী পুরভোটে এর বিহিত চাইবেন মানুষ।” ভূমি-কমিটির নেতা আবু তাহেরের অভিযোগ, “২০০৭-এর নভেম্বরে নন্দীগ্রাম থেকে নিখোঁজ কমিটি সদস্যদের গুমখুনে জড়িত লক্ষ্মণ শেঠ। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
|
নন্দীগ্রামে ধৃতেরা জেল-হেফাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
গত শুক্রবার মাওবাদী সন্দেহে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া থেকে ধৃত সঞ্জয় দাস ও পরশুরাম দাসকে ৪ দিন পুলিশ-হেফাজতের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার হাজির করা হয়েছিল হলদিয়া আদালতে। এ দিন তাঁদের ১৪ দিনের জন্য জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, ঝৃতদের জেরা করে আরও কয়েক জন সন্দেহভাজন মাওবাদীর নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের সন্ধানে তল্লাশিও চলছে। ধৃতদের জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে। সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা এবং ভেকুটিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ-প্রধান সরোজ ভুঁইয়ার উপরে হামলায় যে তাঁরা জড়িত, জেরায় ধৃতেরা তা স্বীকার করেছে বলেও দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের।
|
বামেদের আইন-অমান্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা ও কাঁথি |
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগে এবং দুই সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে রাজ্যব্যাপী কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এবং কাঁথিতে আইন-অমান্য করল বামফ্রন্ট। জেলার অন্য এক মহকুমাহলদিয়ায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল সোমবারই। আর জেলা পর্যায়ে তমলুকে এই কর্মসূচি রয়েছে ২৫ নভেম্বর, শুক্রবার। মঙ্গলবার এগরায় সিটু অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সেখান থেকে মিছিল করে তাঁরা যান মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন সুব্রত পণ্ডা, প্রশান্ত প্রধান, অশোক গুড়িয়া, অমৃত মাইতি প্রমুখ।
|
পালাতে গিয়ে ধৃত ছিনতাইকারী
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক রেলযাত্রীর স্যুটকেস ছিনতাই করে পালানোর সময় এক জনকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। মঙ্গলবার বিকেলে খড়্গপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ধৃতের নাম দেবব্রত সিংহ (৩৪)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দপুরে। বগলাকান্ত বাগ নামে ওই যাত্রী রাজারানি এক্সপ্রেসে ছিলেন। ট্রেনটি বাঁকুড়া থেকে শালিমার যাচ্ছিল। তাঁর বাড়িও ইন্দপুরে। এ দিন সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই এক্সপ্রেস খড়্গপুরে পৌঁছয়। কিছু পরেই দেবব্রতকে স্যুটকেস হাতে দৌড়তে দেখে আরপিএফ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পিছু ধাওয়া করা হয়। কিছু পরেই রক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন দেবব্রত। পরে তাঁকে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেবব্রত এ ভাবে ট্রেনে ছিনতাই করে বলেই মনে করছে রেল পুলিশ। কোনও দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। আরপিএফের ওসি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই ব্যক্তিকে স্যুটকেস হাতে দৌড়তে দেখেই সন্দেহ হয়।” বগলাকান্তবাবু রেলেরই অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। |
|