তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত ধরা দিলেন তৃণমূল অফিসেই
তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত জনগণের কমিটির এক নেতা পুলিশের হাতে ধরা দিলেন শাসকদলের অফিসে এসেই। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরে এ ভাবে ধরা দেওয়া কমিটি-নেতার নাম প্রণব ওরফে বাবলু মাহাতো। বাড়ি ঝাড়গ্রামেরই নেদাবহড়ায়। ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) অলোক রাজোরিয়ার দাবি, “ধাংড়ি গ্রামে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মিশ্র খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বাবলু। রাষ্ট্রদ্রোহ, হামলা, নাশকতা, ভাঙচুর-লুঠ, তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।” আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডে তৃণমূল অফিসে আসেন বাবলু। ওই অফিসে নিয়মিত বসেন দলের প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ প্রধান (দলবিরোধী কাজে আপাতত অবশ্য ‘সাসপেন্ড’ রয়েছেন)। বাবলু এসে গৌরাঙ্গবাবুকে জানান, তিনি ধরা দিয়ে মূলস্রোতে ফিরতে চান। গৌরাঙ্গবাবু থানায় খবর দেন। এএসআই নবীন পাত্র-র নেতৃত্বে পুলিশ এসে কমিটি-নেতাকে নিয়ে যায়। তৃণমূল নেতার মাধ্যমে ধরা দেওয়ার কারণ হিসাবে বাবলুর বক্তব্য, “সোজাসুজি পুলিশে যেতে সাহস হয়নি। গৌরাঙ্গদাকে চিনি। তাই ওঁর মাধ্যমেই ধরা দিলাম।” বাবলু জানান, তিনি কমিটির ঝাড়গ্রাম ব্লকের সহকারী সম্পাদক। আদিবাসী ও কুর্মি (মাহাতো) সম্প্রদায়ের জীবনযাপনে উন্নতির আশায় কমিটির আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ আর সাধারণের হাতে থাকেনি। বরং অপরাধমূলক ঘটনা বাড়ছিল। যৌথ বাহিনীও তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এ ভাবে বাঁচা সম্ভব নয় বুঝেই ধরা দেওয়া।
হেফাজতে প্রণব মাহাতো। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
রাষ্ট্রদ্রোহ, হামলা-নাশকতা, লুঠের পুরনো একাধিক মামলার পাশাপাশি গত ৬ নভেম্বর মাসাংডিহি গ্রামে জনজাগরণ মঞ্চের জমায়েতে গুলি চালানোর অভিযোগে জনগণের কমিটির আর এক নেতা কালিপদ মাহাতো ওরফে সাধুকে সোমবার বিরিহাঁড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের এসিজেএম ধৃতকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। খুনের চেষ্টা ও বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার একটি মামলায় সোমবারই আবার নয়াগ্রামের রাঙামাটিয়া থেকে কাজল মাহাতো নামে মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের এক শিক্ষককেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ দিন তাঁকেও ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত। পুলিশের দাবি, কাজলবাবুও জনগণের কমিটির সঙ্গে যুক্ত। যদিও ধৃতের আইনজীবী তপন চৌধুরীর দাবি, তাঁর মক্কেল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। কাজলবাবুর স্ত্রী বড়খাঁকড়ি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য।
ধরপাকড় চলছে বাঁকুড়া-পুরুলিয়াতেও। মাওবাদী নাশকতায় যুক্ত সন্দেহে শিবনাথ টুডু নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়ার এক যুবক মঙ্গলবার ভোরে বাঁকুড়ার ফুলকুসমা থেকে গ্রেফতার হয়েছে। মাওবাদী ‘লিঙ্কম্যান’ সন্দেহে সনাতন মাহাতো নামে পুরুলিয়ায় আড়শা থানার পাথরডি থেকেও এক জনকে ধরা হয়েছে। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ২০০৯-এর অগস্টে সিপিএমের চাটুহাসা লোকাল কমিটির সম্পাদক লক্ষ্মীকান্ত কুমারকে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে সনাতনের বিরুদ্ধে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.