চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাওয়ার মুখে ফের বিতর্কে ইউপিডিএস। দীর্ঘ মতানৈক্যের শেষে শুক্রবার কেন্দ্রের সঙ্গে কার্বি জঙ্গি সংগঠন ইউপিডিএস-এর শান্তি চুক্তি সই হওয়ার কথা। কিন্তু দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সংগঠনের নেতারা বলে দিলেন, আপাতত ভারত সরকারের শর্তে রাজি হলেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন চলবে।
১৯৯৯ সাল থেকেই পৃথক কার্বি রাজ্যের জন্য আন্দোলন চালাচ্ছে ইউপিডিএস। ২০০২ সালে তারা সংঘর্ষবিরতিতে আসে। শুরু হয় শান্তি আলোচনা। শান্তি আলোচনা চলাকালীন ২০০৯ সালে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, পৃথক রাজ্যের দাবি কোনওভাবেই মানা হবে না। সেই মতো ইউপিডিএসও পরে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে এসে অতিরিক্ত ক্ষমতা-সহ স্বশাসিত পরিষদের দাবি জানায়। সেই সঙ্গে বর্তমানে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণাধীন কার্বি স্বশাসিত পরিষদ ভেঙে দেওয়ারও দাবিও তোলে তারা। তা নিয়েও বিতর্ক চলছে।
অগস্ট থেকে অক্টোবর অবধি শেষ পর্যায়ের আলোচনার পরে চূড়ান্ত চুক্তির দিন ধার্য হয় আগামী শুক্রবার ২৫ নভেম্বর। কিন্তু আজ দিল্লি যাওয়ার আগে ইউপিডিএস-এর সাধারণ সম্পাদক হরেন সিংহ বে বলেন, “সংবিধানের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আমরা পৃথক রাজ্যের দাবি কোনওদিনও ছাড়িনি, ছাড়বও না। নেহাৎ চুক্তির স্বার্থে, কার্বি ভূমিতে শান্তি ফেরানোর জন্য, স্বশাসিত পরিষদের দাবিতে রাজি হয়েছি। আমরা চুক্তির পরে নতুন নামে দল গড়ব। সেই দল রাজনৈতিকভাবে নতুন রাজ্যের জন্য লড়াই চালাতে থাকবে।”
ইউপিডিএস-এর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে গগৈ বলেন, “শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে কেন্দ্র-রাজ্য-ইউপিডিএস হাত মিলিয়ে কার্বিদের উন্নতি করা সম্ভব।” তবে বড়োল্যান্ডের মতোই পৃথক কার্বি রাজ্যের দাবি মানতে একেবারেই নারাজ মুখ্যমন্ত্রী গগৈ।
শুক্রবার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও ইউপিডিএস চেয়ারম্যান লংসর্দার সেনার চুক্তিতে সই করার কথা। এ দিকে, আজ, কার্বি জঙ্গি সংগঠন কেপিএলটির শিবিরে হানা দেয় যৌথ বাহিনী। জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায় এক কেপিএলটি জঙ্গি। সংগঠনের অর্থ সচিবকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও এল লক্ষ টাকা মিলেছে। |