বাড়িতে বাসনপত্র পালিশের কাজ করতে এসে জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করল জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের বি-জোনে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বি-জোনের কাশীরাম রোড ১ নম্বর স্ট্রিটে সপরিবার থাকেন গৌতম সিংহ। তিনি জানান, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে দুই যুবক এসে তাঁকে বলে, তারা বাসনপত্র পালিশের কাজ করেন। বাড়িতে তেমন কোনও কাজ থাকলে তারা তা করবে। গৌতমবাবু তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসান। এর পরে বাড়ির পুরনো বাসনপত্র পালিশ করার জন্য দেওয়া হয় তাদের। গৌতমবাবু অভিযোগ করেন, সেই সময় ওই দুই যুবক তাঁদের জানায়, তারা গয়না পালিশ করার কাজও করে। এ কথা শুনে গৌতমবাবুর স্ত্রী একটি সোনার হার পালিশ করতে দিলে গরম জল চায় তারা। তিনি রান্নাঘরে জল গরম করতে যান। |
সেই সময়ে গৌতমবাবুও ঘর থেকে অন্যত্র গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই দুই যুবক হারটি নিয়ে বাড়ির বাইরে রাখা মোটরবাইকে চড়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। গৌতমবাবুর স্ত্রী ব্যাপার বুঝে চিৎকার জুড়ে দেন। পাড়ার মোড়ে কয়েক জন বাইকটি আটকান। তখন এক জন যুবক পালিয়ে গেলেও অন্য জন ধরা পড়ে যায়। তার উপরে চড়াও হয় জনতা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু বাউড়ি জানান, এ ভাবে পালিশের কাজ করতে আসেন অনেকেই। কিন্তু এর আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, তাঁরা ওই যুবককে একটি চেয়ারে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। তবে মারধর করার কথা তিনি মানতে চাননি। উল্টে তিনি বলেন, “ওই দুষ্কৃতী জল খেতে চেয়েছিল। আমরা জলের বোতল দিই।” এ দিন এলাকায় গিয়ে অবশ্য দেখা গিয়েছে, গাল থেকে রক্ত ঝরছে ওই যুবকের। তাকে ঘিরে রেখেছে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সঞ্জয়কুমার সিংহ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃত জানিয়েছে, তার বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। দুর্গাপুরের ডিসিপি শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, অন্য যুবকটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। |